ব্রেকিং:
করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাথর প্রতারণার অভিযোগ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক পলকের শ্যালকের ইটভাটায় পুড়ছে কৃষকের ফসল নাটোর-১: বিএনপির একাধিক প্রার্থী, সরব জামায়াত, নিশ্চুপ ১৪ দল ইট চুরির অপরাধে সেনাবাহিনীর হাতে একজন আটক
  • মঙ্গলবার   ২৪ জুন ২০২৫ ||

  • আষাঢ় ১০ ১৪৩২

  • || ২৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

আজকের নাটোর
সর্বশেষ:
করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাথর প্রতারণার অভিযোগ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক পলকের শ্যালকের ইটভাটায় পুড়ছে কৃষকের ফসল নাটোর-১: বিএনপির একাধিক প্রার্থী, সরব জামায়াত, নিশ্চুপ ১৪ দল ইট চুরির অপরাধে সেনাবাহিনীর হাতে একজন আটক
৩৬

পশুর হাটে বাড়তি হাসিল আদায়, সেনা অভিযানে টাকা ফেরত পেলেন ক্রেতারা

আজকের নাটোর

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৫  

সেনাবাহিনীর নির্দেশে মাইকিং করে ক্রেতাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে- আজকের নাটোর

সেনাবাহিনীর নির্দেশে মাইকিং করে ক্রেতাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে- আজকের নাটোর

নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে পাঁচ শতাধিক পশু ক্রেতাদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৩১ মে) বিকেলে ওই পশুর হাটে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত আদায় করা হাসিল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় সেনাবাহিনীর আভিযানিক দলটি। পরে অতিরিক্ত নেওয়া টাকা ফেরত পান পশুর ক্রেতারা। এসময় ইজারাদারেরা ভবিষ্যতে অতিরিক্ত হাসিল নেবেন না বলে সেনাবাহিনীর কাছে মুচলেকাও দেন।

জানা যায়, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার উপজেলার জোনাইলে পশু কেনাবেচার বড় হাট বসে। হাটের জন্য নির্ধারিত দিন হিসেবে শনিবার দুপুর থেকে হাট জমতে শুরু করে। হাটে প্রতিটি ছাগলের খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা হাসিল আদায় করা হচ্ছিল। অথচ এই খাজনা সরকারি তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ছিল ক্রেতার কাছ থেকে ছাগলের মূল্য অনুসারে ১১০ থেকে ২২০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ২২-৫৫ টাকা।

অন্যদিকে ইজারাদাররা গরুর খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করছিলেন। যা সরকারি তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ক্রেতার কাছ থেকে গরুর মূল্য অনুসারে ৩৩০-৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৬০-১২০ টাকা।

গরু বিক্রি করতে আসা আদগ্রামের আদম আলী জানান, যে গরু ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবং যে গরু ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে তাদের উভয়ের খাজনা একই পরিমাণ। অর্থাৎ ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ইজারাদাররা মোট ১০০০ টাকা আদায় করছে। একই ভাবে ৪০ হাজার টাকার ছাগল ও ১০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রিতেও একই পরিমাণ খাজনা নিচ্ছে। যা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।

কোরবানির জন্য ছাগল কিনতে আসা কলেজশিক্ষক ওসমান গণি জানান, পশুর হাটে খাজনা আদায়ের চার্ট খুঁজলাম। কিন্তু কোথাও পেলাম না। ইজারাদারদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, আমরা বেশি নিচ্ছি না। তাই চার্টেরও প্রয়োজন নেই। এদিকে খাজনার রশিদে পশুর দাম লিখে দিচ্ছে, কিন্তু খাজনা কত নিলো তা লিখছে না।

জানতে চাইলে জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাটের বিষয়ে আমি কোনো মাথা ঘামাই না। যারা ইজারা পেয়েছেন তারাই খাজনা আদায় করছেন। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাজনার বিষয়ে প্রশাসন খেয়াল রাখছে।

আজকের নাটোর
আজকের নাটোর