ব্রেকিং:
বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য নাটোরের তহবিল সংগ্রহ ভারী বর্ষণে দেবে গেল নাটোরে রেললাইন লালপুরে সড়কের অবৈধ স্থাপনা ও ভাসমান দোকান উচ্ছেদ লালপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু লালপুরে ট্রেনে কাটাপড়ে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু এমপি শিমুল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ সিংড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে যুবক নিহত নাটোরে ভুয়া ডাক্তার ধরল শিক্ষার্থীরা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা নাটোরে সাবেক এমপি ডা. পাটোয়ারীসহ ৬২ জনের নামে মামলা
  • মঙ্গলবার   ০৩ জুন ২০২৫ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৯ ১৪৩২

  • || ০৬ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

আজকের নাটোর
সর্বশেষ:
বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য নাটোরের তহবিল সংগ্রহ ভারী বর্ষণে দেবে গেল নাটোরে রেললাইন লালপুরে সড়কের অবৈধ স্থাপনা ও ভাসমান দোকান উচ্ছেদ লালপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু লালপুরে ট্রেনে কাটাপড়ে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু এমপি শিমুল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ সিংড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে যুবক নিহত নাটোরে ভুয়া ডাক্তার ধরল শিক্ষার্থীরা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা নাটোরে সাবেক এমপি ডা. পাটোয়ারীসহ ৬২ জনের নামে মামলা
১২

ঈদে চমক বাড়িয়েছে রেকাত আলীর গোলাপি মহিষ

আজকের নাটোর

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৫  

নাটোর শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ধারে ডাল সড়ক এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে ড্রিমল্যান্ড ক্যাটেল অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম। এই ফার্মে রয়েছে অদ্ভুত ধরনের তিনরঙা মহিষ এবং সাদা রঙের মহিষ। অ্যালবিনো জাতের এই ইন্ডিয়ান জাতের মহিষগুলো বাংলাদেশে দুষ্প্রাপ্য।

খামারের মালিক আলহাজ রেকাত আলী জানান, তার ফার্মে সাদা রঙের মহিষ এবং কালো গোলাপি ও সাদা রঙের মিশ্রিত মহিষ রয়েছে। এগুলো মূলত অ্যালবিনো এবং অ্যালবিনো রিভো জাতের মহিষ। ইন্ডিয়ান জাতের এই মহিষগুলো খোদ ইন্ডিয়াতেও দুষ্প্রাপ্য। তিনি অত্যন্ত শখের বসে ভিন্নরকম দেখতে এই মহিষগুলো ইন্ডিয়া থেকেই সংগ্রহ করেছেন। তার ফর্মে এই মহিষগুলো দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেন ক্রেতা এবং দর্শনার্থীরা।

রেকাত আলী জানান, তিনি তার গরুগুলো হাটে তোলেন না বা হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন না। ক্রেতারা তার ফার্মে এসে দেখেশুনে দমে পোষালে গরু, মহিষ, ছাগল ও দুম্বা কিনে নিয়ে যান। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দাম এবং ক্রেতাদের ভিড় কম।

ফার্মে পাকিস্তানের শাহীওয়াল, কসবা, হাম বাঙ্কার, ইন্দোনেশিয়ান লাল হুন্ডি এবং দেশি জাতের গরু রয়েছে। এছাড়া তার ফার্মে ছাগল ও দুম্বা লালনপালন করা হয়।

তিনি জানান, ফার্মে ইন্দোনেশিয়ান জাতের কিছু বড় গরু রয়েছে, যেগুলো ১০০০ থেকে ১২৫০ কেজি ওজনের। এই গরুগুলো ১৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হয়। এছাড়া দেখতে সুন্দর অ্যালবিনো জাতের মহিষগুলো সাড়ে ৫০০ কেজি থেকে ৮৫০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। এগুলো মূলত ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হচ্ছে।

ফার্মের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালনপালন করা হয়। এজন্য তিনি ২০ বিঘা জমিতে ঘাসের চাষ করেছেন। এর পাশাপাশি ভাতের মাড়, গমের ভুসি, খৈল, এংকার পাউডার মিশিয়ে গরু, মহিষগুলোকে খাওয়ানো হয়। এ কারণে এই ফার্মের পশুর চাহিদাও থাকে বেশি।

তবে এ বছর ক্রেতাদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অন্যান্য বছরে তুলনায় এবার গরু, মহিষ, ছাগল ও দুম্বার দামও কম রয়েছে। এর মধ্যে গো-খাদ্য ও শ্রমের দাম বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

নওগাঁ থেকে গরু কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, অনলাইনে গরু দেখে তার কাছে দাম বেশি মনে হয়েছিল। তাই সরাসরি রেকাত আলীর ফার্মে আসেন এবং গরুর সাইজ দেখে একটি গরু ক্রয় করেছেন।

রেকত আলী জানান, অনলাইনে পশু বিক্রি করা ঝামেলার। ক্রেতা ফার্মে এসে সরাসরি দেখে শুনে কম-বেশি কিছু দামে পশু ক্রয় করতে পারেন। সেটাই অনেকটা ভালো এবং দামাদামি নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা হয় না।

আজকের নাটোর
আজকের নাটোর