চলনবিলের সুস্বাদু খিরার কদর সারাদেশে
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী খিরার হাট। চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র দিঘরিয়ার খিরার আড়তগুলো পাইকার ও বিক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে শত শত টন খিরা। চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশের উৎপাদিত সুস্বাদু খিরা রাজধানীসহ যাচ্ছে সারাদেশে। খিরার আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭৫ টন খিরা রাজধানীতে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলায় এ বছর ৬৬৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে খিরার। উপযোগী আবহওয়া থাকায় খিরার বাম্পার ফলনও হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক।
খোঁজ নিয়ে ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলনবিলের উত্তর এলাকার তাড়াশ, নাটোরের সিংড়া ও বগুড়ার শেরপুরের ১টি ইউনিয়নের কৃষকদের উৎপাদিত খিরা বেচাকেনার জন্য দিঘরিয়া আড়তটি প্রায় ১৭ বছর আগে চালু হয়।
সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও বগুড়া জেলার খিরা চাষিরা এখানে বিক্রি করতে আসেন। প্রতিদিন ভোর থেকে বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা খিরা আড়তে আনতে শুরু করেন। আর আড়ৎ থেকে জেলাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা খিরা কিনতে আসেন। প্রতিদিন শত শত মেট্রিকটন খিরা বেচা-কেনা হচ্ছে। দুপুরের পর শুরু হয় ট্রাক লোড। প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক প্রস্তুত থাকে। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় বিক্রি। মহাজনরা খিরা কিনে ট্রাকে লোড দিতে থাকেন। পাইকারেরা খিরা কিনে ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকযোগে চলে যায়। এবার এই আড়তগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টন খিরা যাচ্ছে ঢাকায়। এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক। কেনাবেচার মধ্য দিয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে ভরে যায় মহাজনদের আড়ৎ। হাটে প্রচুর খিরা আমদানি হওয়ায় ওজনের পরিবর্তে বস্তা চুক্তিতে বিক্রি করা হয়। প্রকারভেদে প্রতি ছোট বস্তা খিরা বিক্রি হয় ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং প্রতি বড় বস্তা বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত। এ হাটটি ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলে এপ্রিল পর্যন্ত।
এদিকে খিরার বড় হাট এখন লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের চরবর্দ্ধনগাছা। এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খিরা বেচাকেনা চলে। সপ্তাহে ৭ দিনই বসে এই হাট। চাষিরা ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিমণ খিরা বিক্রি করছেন। বিক্রির জন্য কৃষকদের দিতে হয় না কোনো খাজনা।
কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার পশ্চিম এলাকার বারুহাস ও তালম ইউনিয়ন, নাটোরের সিংড়ার বিয়াস ইউনিয়ন এবং বগুড়ার শেরপুরের বিশালপুর ইউনিয়নের কৃষকরা প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করে। গত বছরের তুলনায় এ বছর খিরা চাষে ৩ হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। এবছর ফলন কম হলেও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
এ বছর সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট ৬৬৬ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে তাড়াশে ৪৩৯, উল্লাপাড়ায় ২০৪, কাজিপুরে ৫, বেলকুচিতে ৫, কামাখন্দে ৪, রায়গঞ্জে, শাহজাদপুরে ১ ও সদরে ৬ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। এরমধ্যে তাড়াশ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে। অনুরূপ দাম পাওয়া গেলে এক বিঘা জমির খিরা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার বিক্রি করা যাবে।
চাষিরা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে খিরা চাষ করতে প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ১ বিঘা থেকে উৎপাদিত খিরা বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ আবাদে পোকা-মাকড়ের ঝামেলা কম, তাই খিরা চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি।
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, তাড়াশ অঞ্চলের উৎপাদিত খিরার মান ভালো, দামও কম। খিরার মান ভালো হওয়ায় এর কদর সারাদেশে রয়েছে। প্রতিদিন দেশের চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে খিরা কিনতে আসছে ব্যাপারীরা।
দিয়ারপাড়া গ্রামের খিরা চাষি করিম হোসেন বলেন, গত মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছিলাম। আবহাওয়ার কারণে খুব একটা লাভের মুখ দেখিনি। এবার ১০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ফলনও বাম্পার হয়েছে। দামটাও খুব ভালো পেয়েছি।
বারুহাস ইউনিয়নের দিঘড়িয়া গ্রামের বর্গা চাষি ক্ষুদ্র কৃষক ফজর আলী বলেন, গত বছর ১৫ শতাংশ জমির খিরা বিক্রি করে বেশ লাভ হয়েছিল। এবারও ২৫ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে খিরার চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হয়েছে এবং দামও ভালো পাচ্ছি।
সান্দ্রা গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, আমি তিন বছর ধরে খিরা চাষ করি। আগে এই আবাদ কম হতো। কিন্তু অন্যান্য ফসলের চেয়ে খিরা চাষে অধিক লাভের কারণে প্রতি বছর কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।
উল্লাপাড়ার চলনবিল গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, প্রতি বছর আমি ধান ও সরিষা চাষ করি। এবার আড়াই বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ১০০ থেকে ১২০ মণ ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে খিরা ৯শ থেকে ১ হাজার টাকায় প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে। বাজার দর এ রকম থাকলে আড়াই বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে।
এ বিষয়ে তাড়াশের দিঘরিয়ার খিরার আড়ৎদার ফজলুল করিম বলেন, গত বারের তুলনায় এবার খিরার দ্বিগুন আমদানি হয়েছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত খিরার আড়ৎ ভরে যায়। চাহিদাও বেড়েছে, দামও ভালো। এক বস্তা খিরার দাম ৯শ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই খিরা কিনতে জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে খিরা কিনে ট্রাক লোড করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে তাড়াশের দিঘরিয়ার খিরার আড়তে আসা পাইকার আজহার আলী মণ্ডল, জয়নাল হক, আলতাব ও সোহরাব আলী বলেন, খিরার প্রচুর আমদানি হয়েছে, কিন্তু দাম কমেনি। তবুও এক ট্রাক কিনেছি। ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর খিরার ফলন ভালো হওয়ায় এবছরও আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। সামনে আরও বেশি খিরার আবাদ হবে বলে আমি আশাবাদী।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (উপ-পরিচালক) বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, জেলার ফসলি জমিতে খিরা চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক কৃষকদের খিরা চাষে উৎসাহ ও পরার্মশ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছেন। চলতি মৌসুমে জেলায় ৬৬৬ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৭৫ হেক্টর বেশি চাষ হয়েছে বলে তিনি জানান।

- নাটোরে ১০ মাসে কোরআন হিফজ করল আট বছরের মিথিলা
- লালপুরে আখ চাষী প্রশিক্ষণ
- বাগাতিপাড়ার বাউয়েটে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা
- নাটোরের ছাতনী কেশবপুরে বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরুষ্কার বিতরণী
- নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
- বনপাড়া খ্রিস্টান ধর্মপল্লী পরিদর্শনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
- লালপুর উপজেলায় মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ
- গুরুদাসপুরে ৬ বেকারিকে জরিমানা
- বড়াইগ্রামে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- নাটোরে প্রাণ গ্রুপে চলছে চাকরি মেলা
- আব্দুলপুরে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল
- নাটোরে আন্ত:ধর্মীয় সংলাপে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ ফরিদুল হক
- নাটোরে স্বনির্ভর নাটোর ইউ.সি.সি.এ. লিঃ এর নির্বাচন শুরু
- দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে সোচ্চার হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
- সমুদ্রসম্পদের বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
- রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ একান্তভাবে প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী
- নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহকর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া
- বাজার সামলাতে সাত সুপারিশ
- ২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত বনের গাছ কাটা যাবে না
- আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি: আইজিপি
- ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
- গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত হচ্ছে রাজশাহীর তিন জেলা ও ৩২ উপজেলা
- সিংড়ায় ক্যাশলেস বাংলাদেশের কার্যক্রম উদ্বোধন
- লালপুরে বিদ্যালয়ের উর্দ্ধমুখী ভবনের উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী
- নাটোরে প্রাণ গ্রুপ-এর চাকরি মেলা মঙ্গলবার
- সিংড়ায় লেখক সংবর্ধনা ও কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত
- নারীরা শিক্ষিত হয়ে দেশ জাতি গঠনে কাজ করছেন : এমপি বকুল
- নাটোরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ এর কার্যক্রম শুরু
- গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে বড়াইগ্রাম উপজেলা
- ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে লালপুর
- ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে লালপুর
- বাউয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- নাটোরের তিনটি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে
- লন্ডনে বসে যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে : এমপি বকুল
- বড়াইগ্রামে বনভোজনের গাড়ী দুর্ঘটনায় আহত ৬
- লালপুরের খলিশাডাঙ্গা নদী থেকে অবৈধ বাঁধ অপসারণ
- নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই
- অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যে চীনের বিকল্প বাংলাদেশ
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ক্রস পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
- নাটোরে প্রাণ গ্রুপ-এর চাকরি মেলা মঙ্গলবার
- সিংড়ায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচী অনুষ্ঠিত
- ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব
- র্যাব মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী
- দেশীয় সংস্কৃতির উপাদান দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- বড়াইগ্রামে মোবাইল চোর চক্রের পলাতক সদস্য গ্রেফতার
- নলডাঙ্গায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাচ্ছেন ২০০জন ভূমিহীন পরিবার
- নাটোরে ৪ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো কার্যক্রম শুরু
- রমজান সামনে রেখে রেমিট্যান্সে গতি, বাড়ছে রিজার্ভ
- সিংড়ায় ক্যাশলেস বাংলাদেশের কার্যক্রম উদ্বোধন
- চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ বার্থিং দেওয়া শুরু
- নাটোরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ এর কার্যক্রম শুরু
- লালপুরে বিদ্যালয়ের উর্দ্ধমুখী ভবনের উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী
- নারীরা শিক্ষিত হয়ে দেশ জাতি গঠনে কাজ করছেন : এমপি বকুল
- গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে বড়াইগ্রাম উপজেলা
- সিংড়ায় লেখক সংবর্ধনা ও কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিচার শুরু
- রোজায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি হবে গোশত-দুধ-ডিম
- শুধু স্থাপত্য নকশা নয় এবার ভবনের কাঠামোগত নকশাও জমা দিতে হবে
- ৭২ বিচারক পেলেন পদোন্নতি
- অনেক উন্নয়নশীল দেশে গণমাধ্যম এত স্বাধীনতা পায় না
