ব্রেকিং:
করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাথর প্রতারণার অভিযোগ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক পলকের শ্যালকের ইটভাটায় পুড়ছে কৃষকের ফসল নাটোর-১: বিএনপির একাধিক প্রার্থী, সরব জামায়াত, নিশ্চুপ ১৪ দল ইট চুরির অপরাধে সেনাবাহিনীর হাতে একজন আটক
  • বৃহস্পতিবার   ১৯ জুন ২০২৫ ||

  • আষাঢ় ৪ ১৪৩২

  • || ২২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

আজকের নাটোর
সর্বশেষ:
করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাথর প্রতারণার অভিযোগ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক পলকের শ্যালকের ইটভাটায় পুড়ছে কৃষকের ফসল নাটোর-১: বিএনপির একাধিক প্রার্থী, সরব জামায়াত, নিশ্চুপ ১৪ দল ইট চুরির অপরাধে সেনাবাহিনীর হাতে একজন আটক
২২

তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী

আজকের নাটোর

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৫  

দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সেনপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের প্রত্যাশার চেয়ে আরো দুই মাস বেশি সময় মাঠে থাকতে হবে সেনাবাহিনীকে। সেনাপ্রধান চেয়েছিলেন ডিসেম্বরেই নির্বাচন হোক।
তা হচ্ছে না। সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, যেন ঐক্য বিনষ্ট না হয়। সেটি হলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। সরল এই চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে অপব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।

কিন্তু তার পরও সেনাবাহিনী আপন কর্তব্যে অবিচল। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পক্ষে আপসহীন। সংকটময় পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীই দেশবাসীর ভরসা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত সেনাবহিনী।

সমালোচকদের কারো মতে, বর্তমানে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে যে সরকারের ওপর, সেই সরকার প্রকৃত অর্থে সেনা সমর্থিত। বর্তমান উপদেষ্টা সরকার সেনাবাহিনীর সমর্থনের ওপর দাঁড়ানো। এটি অস্বীকার করার অর্থই হচ্ছে বাস্তবতাকে অস্বীকার এবং প্রকারান্তরে সরকারকে ভুল পথে নেওয়ার অপচেষ্টা করা। এ ছাড়া বলা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ও সরব প্রচারে ভালো দিক হচ্ছে সেনাবাহিনী সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে আগের চেয়ে আরো ঐক্যবদ্ধ।

মেজর জেনারেল (অব.) কাজী ইফতেখার-উল-আলমের মতে, সেনাপ্রধান দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ দেখতে চান, বিশৃঙ্খলা চান না। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতেও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষেই ছিল এবং এখনো রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর সঙ্গে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ভূমিকাও প্রশংসনীয়। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে পুলিশ এখনো সেভাবে পুনর্গঠিত হতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে দেশের মানুষের ভরসা এখনো সেনাবাহিনী। যথেষ্ট কার্যকরভাবে তারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দেশবাসীর প্রত্যাশা হয়তো অনেক বেশি ছিল, কিন্তু সার্বিক দিক থেকে এখন তো একটি সংকটময় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতেও সেনাবাহিনী বর্তমান সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ গণতান্ত্রিক রূপরেখা বাস্তবায়নের পথে। আমরা সবাই আশা করি ভালো কিছু হবে। জাতি হিসেবে আমরা একতাবদ্ধ থাকতে চাই। সেনাপ্রধানও সেটাই চান। তাঁর কার্যক্রমে সেটিই প্রতিফলিত হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে সবাইকে। রাষ্ট্রের সব সেক্টর থেকে সহযোগিতা ছাড়া সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমেরও এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে যদি চিন্তা করি, তাহলে বুঝতে পারব, পরিস্থিতি খুবই সংকটময়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ—এসব আমাদের অর্থনীতির ওপর আরো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক সেটাও আগের মতো সৌহার্দ্যপূর্ণ নয়। সব মিলিয়ে যে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি, সেখান থেকে উত্তরণ হতেই হবে। আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে এবং সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ না করলে আমরা এগোতে পারব না। জাতি হিসেবে আমরা অবশ্যই বীরের জাতি, এটি সামনের দিনগুলোতে আমরা প্রমাণ করতে পারব, এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ’

অবসরকালীন ছুটিতে থাকা সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের মতে, দেশের রাজনৈতিক সংকটে সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীকেই বেশি ভুগতে হয়। তিনি গতকাল গণমাধ্যমকে, ওয়ান-ইলেভেনের পর দীর্ঘ সময় সেনাবাহিনী মাঠে থাকায় সে সময় সেনাবাহিনীর অনেক ক্ষতি হয়। সেনাবাহিনীর পেশাদারি, তাদের রুটিন কাজের ব্যাঘাত ঘটে। প্রশিক্ষণ বিঘ্নিত হয়। সেনাপ্রধান তথা সেনাবাহিনী এ কারণেই দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার পক্ষে। সেনাপ্রধান দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই চাননি, রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি হোক। তিনি সবাইকে সতর্ক করতে চেয়েছেন। দেশের এই ক্রান্তিকালে সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসার। এটি যারা স্বীকার করে না বা সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে তাদের উদ্দেশ্য দেশ-জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী বলেই মনে হয়।  

সেনাপ্রধান নিজেও সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণাত্মক কথা না বলার আহবান জানিয়ে বলেছেন, ‘একটা কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি, সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো। কিন্তু কী কারণে, আজ পর্যন্ত আমি এটা খুঁজে পাইনি। ’

তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা হচ্ছি একমাত্র ফোর্স, যেটা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, দাঁড়িয়ে আছি প্ল্যাটফর্মে। অবকোর্স নেভি অ্যান্ড এয়ারফোর্স। নেভি, এয়ারফোর্স উই অল। আমাদের সাহায্য করেন, আমাদের আক্রমণ করবেন না। আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, আমাদের উপদেশ দিন। আমাদের প্রতি আক্রমণ করবেন না। উপদেশ দিন, আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই এবং দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ’

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে ‘২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই দিন তিনি সব পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে আরো বলেন, নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি, মারামারি ও কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। এই দেশ আমাদের সবার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারি। ’

এ ছাড়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে হস্তক্ষেপ করতে দেব না, এটা আমার স্পষ্ট অঙ্গীকার। ’

গত সোমবার সেনাপ্রধান জাতিসংঘের জোরপূর্বক গুম বিষয়ক কার্যনির্বাহী দলের (ডব্লিউজিইআইডি) ভাইস চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোওয়াস্কারকে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিচারপ্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রক্রিয়ায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশিষ্ট রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহারের বিশেষ একটি রাজনৈতিক অবস্থান রয়েছে বলে মনে করা হয়। তাঁর মতামত বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি মনে করেন, এই সরকার ‘সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার’। গত জানুয়ারিতে গণমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন। এখনো সেই অবস্থান পাল্টাননি।  

গত ২৮ মে ফরহাদ মজহার তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কিছুদিন আগেও ভারতীয় গণমাধ্যম ক্রমাগত বাংলাদেশে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের বিরুদ্ধ সেনা অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য প্রবল উসকানি দিয়েছে। এখনো চলছে। সেটা সফল হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের এই প্রয়াসকে হালকাভাবে নেওয়ার উপায় নেই। এটা বাংলাদেশের প্রতি দিল্লির, অর্থাৎ মোদির নীতি। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে উসকানির প্রোপাগান্ডার বিপরীতে নিদেনপক্ষে আমাদের ভেবে দেখা উচিত, দিল্লি যেখানে বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তাদের পছন্দের কাউকে বসাতে চায়, সেখানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের বিরুদ্ধে কামান দাগানো আমাদের কর্তব্য কি না? আমরা আগুনে ঘি ঢালছি কেন?’ তিনি আরো লেখেন, ‘সেনাপ্রধানকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় করা এবং প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের মধ্যে দ্বন্দ্ব্ব আরো বৃহৎ ও সাংঘর্ষিক করার রাজনীতি কি ভয়ংকর বিপদ টেনে আনবে না? ব্যক্তিগত আক্রমণ, কুৎসা রটনা এবং ভুয়া তথ্য প্রচার সেনাবাহিনী ও সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকারের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধির রাজনীতিতে দিল্লি খুশি হবে। আর আমরা নাকি নিজের পায়ে কুড়াল মেরে ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়ছি? মহা বীর! ষড়যন্ত্র তত্ত্বের লজেন্স খুব মিষ্টি লাগে। আমাদের বিপুল আমোদ। বাংলাদেশ প্রশ্নে দিল্লির রাজনীতি বোঝা কি কঠিন? সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার ভারতীয় দৃশ্যমান ও সরব প্রচারে ভালো দিক হচ্ছে সেনাবাহিনী সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে আগের চেয়ে আরো ঐক্যবদ্ধ। আমাদের কর্তব্য নির্ধারণ মোটেও কঠিন ব্যাপার নয়। আশা করি, আমরা সতর্ক হতে শিখব। ’

ফরহাদ মজহার আরো লেখেন, ‘শুরু থেকেই সেনাপ্রধান পরিষ্কার বলে আসছেন যে তিনি দীর্ঘকাল সেনাবাহিনীকে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে রাখতে চান না। অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, সেনাবাহিনীর দীর্ঘকাল সেনানিবাসের বাইরে থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে হুমকি তৈরি হয়, নানা স্বার্থান্বেষী মহলে সেনা সদস্য ও অফিসারদের বিভ্রান্ত ও ভুল কাজে ফুসলানোর সুযোগ পায়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই সেনাপ্রধান এই বক্তব্য নানা সময় দিয়েছেন। বরাবরই দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার এটাই তাঁর প্রধান যুক্তি ছিল। ’

চট্টগ্রাম বন্দর ও মানবিক করিডর জাতীয় নিরাপত্তা ও সামরিক স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় উল্লেখ করে ফরহাদ মজহারের বক্তব্য, ‘এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করবে, সেটা খুবই যুক্তিসংগত। সেই ক্ষেত্রেও দূরত্ব তৈরি করে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর শুধু মাল খালাস করার জেটি নয়, সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশি করপোরেট ব্যবস্থাপনায় সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করা জাতীয় স্বার্থেই জরুরি। সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়াদির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আন্তরিক পরামর্শের গুরুত্ব জনগণ ও সরকার সবাইকেই বুঝতে হবে। এসব বিষয় আমলে না নিয়ে যাঁরা ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রোপাগান্ডার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন এবং বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থের জায়গা থেকে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মীমাংসার পরিবেশ তৈরি না করে আরো দূরত্ব বৃদ্ধি করে চলেছেন, বিনয়ের সঙ্গে আমরা তাঁদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। আমি বারবার এই দূরত্ব দ্রুত কমানোর কথা বলেছি। ’ 

তিনি তাঁর পোস্টে আবারও বলেন, ‘আমরাও বারবার জনগণকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে বর্তমান উপদেষ্টা সরকার সেনাবাহিনীর সমর্থনের ওপর দাঁড়ানো। এই সরকারের আইনি বৈধতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু সেনা সমর্থনের রাজনৈতিক মর্ম হচ্ছে সেনাবাহিনী গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের অভিপ্রায়কেই ধারণ করে। সেই তাগিদেই তারা ড. ইউনূস ও উপদেষ্টা সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। আমরা এই অবস্থানকে সমর্থন করি। ’

তবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে—এমন একটি ধারণা প্রচারের চেষ্টা হলেও বাস্তবতা ওই ধারণা সমর্থন করে না। ঈদুল আজহার দিনেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানকে সস্ত্রীক আন্তরিক অবস্থায় দেখা গেছে। একই দিনে সেনাপ্রধান সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগীদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তিনি রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সেনা সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ঢাকায় বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেনা সদস্যরাও সেনাপ্রধানকে পাশে পেয়ে অনুপ্রাণিত এবং অত্যন্ত আনন্দিত হন। তিনি তাঁদের সঙ্গে প্রীতিভোজেও অংশগ্রহণ করেন।

আজকের নাটোর
আজকের নাটোর