এবার চাহিদার চেয়ে পশু বেশি
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৪
![](https://www.ajkernatore.com/media/imgAll/2018November/Screenshot_1-2406100812.jpg)
অর্থনৈতিক সংকট ও করোনা মহামারির প্রভাবে গত কয়েক বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল কম। গত বছরও দেশের গবাদি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। এ বছর চাহিদা বাড়তে পারে, এ ধারণা থেকে বেশিসংখ্যক কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। পশু পালনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি হতে পারে।
কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত শ্রেণি চাপে থাকায় পশু বিক্রি কম হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে খামারিদের মধ্যে।
চলতি বছরে চাহিদা রয়েছে এক কোটি সাত লাখ কোরবানির পশুর। কিন্তু সারা দেশে এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত রয়েছে।
এর মধ্যে গরু-মহিষ ৫৩ লাখ ৬১ হাজার, ছাগল-ভেড়া ৭৬ লাখ ১৮ হাজার এবং অনান্য পশু রয়েছে এক হাজার ৮৫০টি। ফলে চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ ৭৮ হাজার অতিরিক্ত গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশু অবিক্রীত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এর সঙ্গে চাহিদা অনুসারে বিক্রি না হলে সংখ্যাটা আরো বাড়তে পারে।
দেশে পশু প্রস্তুতে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। বিভাগটিতে ১৭ লাখের মতো পশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। অন্যদিকে ঢাকা বিভাগে পশু ঘাটতি হতে পারে সাড়ে ৯ লাখ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগেও পশুর ঘাটতি রয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, চলতি বছর খামারিরা নানা কারণে উদ্বেগ ও উত্কণ্ঠায় রয়েছেন।
একদিকে চাহিদার তুলনায় বেশি পশু থাকা, অন্যদিকে খামারিদের পশু পালনে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র খরা, এরপর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তীব্র ক্ষতির কবলে পড়েছেন পশু উৎপাদনকারী খামারিরা। হিট স্ট্রোকে হাজার হাজার গরু-ছাগল, মহিষ ও ভেড়া অসুস্থ হয়েছে। এতে পশুগুলোর ওজন কমেছে। সার্বিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন খামারিরা।
তিনি বলেন, পশুখাদ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে খামারিরা আরো নাজেহাল পরিস্থিতিতে রয়েছেন। সার্বিকভাবে খামারিদের উৎপাদন খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পশুকে বারবার গোসল করানো, টিনের চালে পাটের ভিজা বস্তা রাখা, স্যালাইন ও গ্লুকোজ খাওয়ানো এবং পাখা চালিয়ে কোনো রকমে সামাল দেওয়া হচ্ছে পরিস্থিতির। ভালো দাম না পেলে খামারিরা ক্ষতির কবলে পড়তে পারেন। আবার দাম বেশি হলে ভোক্তাদের মধ্যে চাহিদা কমে যেতে পারে। তাই সামনের দিনে খামারিদের সহায়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে খরচ কমাতে পারলে ভোক্তারা কম দামে পশু কিনতে পারবে। তখন চাহিদা আরো বাড়ানো সম্ভব হবে। এতে খামারি ও ভোক্তা উভয়ই লাভবান হতে পারবে।
দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পশুর প্রবেশ
ঈদের আগমুহূর্তে পশুর বিশেষ পরিচর্চায় ব্যস্ত খামারিরা। পশুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে তাঁরা খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। পশুগুলোকে হূষ্টপুষ্ট রাখতে কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুসি, চালের খুদ-কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার বেশি খাওয়ানো হচ্ছে। তবে কুমিল্লার খামারিরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পশু প্রবেশ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় ১০৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে সীমান্ত। প্রতিবছরই কোরবানির ঈদের সময় অবৈধভাবে কমবেশি গরু প্রবেশ করে। এবারও জেলার খামারিরা শঙ্কায় আছেন। গম, ভুসি, ভিটামিন, ভুট্টাসহ অন্যান্য খাবারের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে সঠিক মূল্য পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খামারিরা। এ ছাড়া এবার পশু পালনে চিকিৎসা ব্যয় হয়েছে অনেক বেশি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার নুরজাহান অ্যাগ্রোর খামারি মনির হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পশু পালনে খরচ বৃদ্ধি ও খাবারের দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পশু তৈরি করা কঠিন হয়ে গেছে। পশু পালনের জন্য সবই এখন বেশি দামে কিনতে হয়। ফলে পশুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার পশুর দাম শুনলে ক্রেতারা তাঁদের বাজেটের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন। বর্তমান বাজারে ভোক্তাদের দামের সঙ্গে সমন্বয় করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য বিক্রিও কিছুটা কম হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে পশু প্রবেশ করলে আমরা দিন শেষে বিক্রিই করতে পারব না।’
এ বিষয়ে জেলার খামারিদের সংগঠন ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন, কুমিল্লার সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা একটি বছর পশু পালন করে লাভের স্বপ্ন দেখি। আর চোরাইভাবে পশু এসে প্রতিবারই আমাদের সেই স্বপ্ন নষ্ট করে দেয়। এবার অবৈধভাবে পশু প্রবেশ বন্ধে প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে। তা না হলে আমরা শেষ হয়ে যাব। অনেক নতুন খামারি আছেন, তাঁরা ধারদেনা করে খামার গড়েছেন। প্রতিবছর সড়কে চাঁদাবাজি, পরিবহনে বেশি ব্যয় ও ছিনতাইয়ের কারণেও অনেক খামারি নিঃস্ব হয়ে যায়। এসব নিয়ে খামারিরা উদ্বেগ-উত্কণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। সব বিষয়ে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে খামারিরা নিরুৎসাহিত হতে পারেন।’
অনলাইনে ১০ হাজার কোটি টাকার পশু বিক্রির প্রত্যাশা
প্রতিবছরের মতো এবার অনলাইনে বেচাকেনায় জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছর অনলাইনে পশু বেচাকেনা হয়েছিল চার হাজার ২৩১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার। অনলাইনে বিক্রি হয়েছিল চার লাখ ৬৩ হাজার ৯৬টি পশু। চলতি বছরে অনলাইনে বেচাকেনা ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সার্বিক বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘চলতি বছরে সারা দেশের খামারিরা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছেন। আমাদের হিসাবে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। ফলে কোরবানির পশু নিয়ে কোনো রকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই। আবার খামারিদের স্বার্থ সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য অবৈধ উপায়ে গবাদি পশুর অনুপ্রবেশ যেন না ঘটতে পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পশু আমদানি করা হবে না, আমদানির অনুমতিও দেওয়া হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে বিশেষ লক্ষ রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম থাকবে। কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কি না বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কি না, তারা সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানাবেন। দেশের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভালো পশু কিনতে পারে, তার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
(প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কালের কণ্ঠ’র সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা)
![আজকের নাটোর আজকের নাটোর](https://www.ajkernatore.com/media/PhotoGallery/2018November/Advt360x280-1811270723-1811281200.jpg)
- ৮ দফা দিয়ে প্রত্যাহার হলো রাবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- ঢাকাসহ ৪ জেলায় ফের কারফিউ বহাল
- ৯ দিন ধরে বন্ধ, ট্রেন চালুর বিষয়ে যা জানালেন রেলমন্ত্রী
- এইচএসসি পরীক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হবে কবে জানালেন মন্ত্রী
- ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি
- শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি: প্রধানমন্ত্রী
- বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি:
- বিএনপি-জামায়াতের লাশের রাজনীতিতে মানুষ নিহত হয়েছে :
- ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- ঢাকায় বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক
- ঢাকার নিরাপত্তায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
- মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে: পলক
- শাটডাউনে চলবে মেট্রোরেল, বাস চালানোর নির্দেশনা
- তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- আদালতের রায় আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান
- কোটার রায় বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল রাষ্ট্রপক্ষের
- মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে
- ফেসবুকে কর্মসূচি ঘোষণা, আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা
- হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ নামের কোন কর্মসূচি ঘোষণা হয়নি
- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
- পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬%
- প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা
- টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল
- সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন
- ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়
- আজ পবিত্র আশুরা
- আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না
- যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ভিত্তিহীন,উসকানিমূলক: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- কোটার রায় বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল রাষ্ট্রপক্ষের
- দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- তালিকা তৈরি হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের
- হালতি বিলের সৌন্দর্য রাতেও উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা
- নাটোরে ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার
- নাটোরে একসঙ্গে ৩ পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা
- বিএনপি-জামায়াতের লাশের রাজনীতিতে মানুষ নিহত হয়েছে :
- ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ নামের কোন কর্মসূচি ঘোষণা হয়নি
- নাটোরে আন্তঃ জেলা হরিজন ফুটবল টুর্নামেন্ট
- কোটা কমানোর চিন্তা সরকারে
- নলডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল এক ব্যাক্তির
- বাজারে স্বস্তি আনার চিন্তা
- নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত সিংড়ার কারিগররা
- নাটোরের সিংড়ায় ১ লক্ষ গাছের চারা বিতরণ
- সিংড়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত ২২ ব্যক্তির মাঝে চেক বিতরণ
- স্বাস্থ্য খাতকে আরও উন্নত করব
- প্রয়োজন কোটা সংস্কার
- হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- নতুন মাত্রা পাবে চীনা অর্থায়ন
- বাগাতিপাড়ায় এক হাজার প্রান্তিক কৃষক পেল প্রণোদনার সার ও বীজ
- লালপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মা ও মেয়ের মৃত্যু
- দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলতি অর্থবছরেই শুরু
- ২৫ বছরের পুরোনো নথি জমা না দিলে জরিমানা
- বড়াইগ্রামে ‘এসআরপি শিক্ষাবৃত্তি’ পেলো ৪৬৪ শিক্ষার্থী
- সংশোধন হচ্ছে গণনা পদ্ধতি
- মধ্যম আয়ের দেশ থেকে আমরা এখন উন্নত দেশের অভিযাত্রী – পলক
- উৎসে কর প্রত্যাহারে জট খুলল চালের
- নজর কেড়েছে বাগাতিপাড়ার জাতীয় পতাকার আদলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর
- দুর্নীতির জঞ্জাল সাফ করতে হবে
- ফেসবুকে কর্মসূচি ঘোষণা, আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা
- বড়াইগ্রামে ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলার সমাপনী
![আজকের নাটোর আজকের নাটোর](https://www.ajkernatore.com/media/PhotoGallery/2018November/Advt360x280-1811270723-1811281200.jpg)