শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নাটোরে হাইব্রিড জাতের বাউকুল ও বারমিজ কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। সেই সঙ্গে চলতি বছর বেড়েছে কুল আবাদের পরিমাণও।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে জেলার উঁচু এবং উষ্ণতম অঞ্চলগুলোতে কুল চাষ ভালো হয়। সে দিক থেকে নাটোরের লালপুর, বড়াইগ্রাম, সদর, গুরুদাসপুর এবং সিংড়া উপজেলায় কুল চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি হয় লালপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়া এবং গুরুদাসপুর উপজেলায়।
লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া এলাকার কুল চাষি সেহেল রানা জানান; সার, কীটনাশক এবং সেচসহ এক বিঘা জমিতে কুল চাষ করতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ঠিকমত কুল উৎপাদন হলে এবং দাম ভালো পাওয়া গেলে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত এবার তার কুল বিক্রি হবে।
এদিকে জেলার বনপাড়া বাইপাস, ওয়ালিয়া বাজার, সদর উপজেলার চানপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে কুলের পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি পর্যন্ত ৮ থেকে ১০টি কুলের আড়তে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার কুল বেচাকেনা হচ্ছে।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে উপ-পরিচালক ড. আলহাজ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন; গত বছরের তুলনায় এবার কুলের ভালো দাম পাচ্ছে চাষিরা। তাছাড়া খরচ কম হওয়ায় অন্যান্য বাগানের তুলনায় কুল বাগানের সংখ্যাও বাড়ছে। ভালো মানের কুল উৎপাদনে চাষিদের প্রশিক্ষণ এবং সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যার কারণে কুল চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়