বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২১
নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যমণ্ডিত দর্শনীয় স্থান। যা উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। প্রায় তিনশ বছরের পুরোনো এই জমিদার বাড়ি তার প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশ ও বিদেশের কাছে উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত।
করোনার কারণে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১৯) আগস্ট) থেকে আবারও খুলছে নাটোরের উত্তরা গণভবন বা নাটোর রাজবাড়ি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে নাটোরের এ দুটি পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে পর্যটন কেন্দ্র দুটিতে থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কড়াকড়ি আরোপ।
পর্যটন কেন্দ্র দুটি খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাদিম সারোয়ার। তিনি জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন নাটোরের উত্তরা গণভবন এবং নাটোর রাজবাড়ি দর্শনার্থীদের প্রবেশে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
করোনার সংক্রমণ কমে আসার কারণে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিার থেকে পর্যটন কেন্দ্র দুটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ উত্তরা গণভবনে উপস্থিত থেকে পর্যটন কেন্দ্রটি উন্মুক্ত করবেন।
এর আগে করোনার প্রথম ঢেউয়ে ২০২০সালের ২৬মার্চ থেকে ২০২১ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তরা গণভবন এবং নাটোর রাজবাড়ি বন্ধ থাকে।
দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ এই রাজবাড়ি। রাজবাড়িটি তার আপন সৌন্দর্য, ইতিহাস, শৈল্পিক নিদর্শন আর অনন্যতায় যুগ যুগ ধরে দৃষ্টি কাড়ছে দর্শনার্থীদের। রাজবাড়ির প্রবেশের প্রধান ফটকের নির্মাণ শৈলী সবাইকে বিমুগ্ধ করে।
এছাড়া প্রধান প্যালেসসহ মোট ১২টি ভবন এবং রাজবাড়ি ঘিরে বাউন্ডারি ওয়াল, মুঘল এবং পাশ্চাত্য আর্কিটেকচারাল ডিজাইন অনুসারে রাজ প্রাসাদটি সৌন্দর্যমণ্ডিত এবং দুর্লভ করে তোলে।
রাজবাড়িটির দক্ষিণাংশে একটি ইতালিয়ান গার্ডেন তৈরি করা হয়। এখানে শত শত রঙের ফুল এবং ফল গাছ রোপণ করা হয়। এর মাঝে স্থাপন করা হয় কৃত্রিম ঝর্ণা এবং শ্বেতপাথরের ভাস্কর্য।
প্রতিষ্ঠা: দিঘাপতিয়া রাজপ্রাসাদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা দয়ারাম রায়। তিনি এক সময় নাটোর রাজের দেওয়ান ছিলেন। তিনিই ১৭৩৪ সালে সর্বপ্রথম দিঘাপতিয়া রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন।
এটি বর্তমান নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এবং নাটোর প্রধান শহর থেকে ২.৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এদিকে, দীর্ঘ বিরতির পর আবারও দর্শনার্থীদের জন্য পর্যটন কেন্দ্র দুটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত কর্মচারী এবং পর্যটকরা।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়