বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২০
২০২১ সালের জুন মাসে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পায়রা সেতু। ইতোমধ্যে সেতুটির ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ব্যবস্থা চালু হবে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন সেতুটি নির্মাণে কাজ করছে। এক হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা থাকবে। ফলে নদীর মাঝখানে মাত্র একটি পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক থাকবে। নির্ধারিত সময়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
পটুয়াখালী-বরিশাল চলাচলকারী তুসার পরিবহনের চালক মো. সেলিম মিয়া বলেন,পায়রা সেতুটি চালু হলে আর কোনো ভোগান্তি থাকবে না। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পটুয়াখালী পৌঁছানো যাবে। কোনো ধরনের ভোগান্তি থাকবে না। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে।
পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল খালেক বলেন, আমরা মূল সেতুর কাজে এগিয়ে আছি। ইতোমধ্যে পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বর্ষা ও করোনার কারণে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। ইতোমধ্যে সেখান থেকে ২৫ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসে সেতুর সার্বিক কাজ সম্পন্ন করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পায়রা সেতুর ডিজাইনে সাধারণত সেতু হয় না। বাংলাদেশে এই সেতুটি দ্বিতীয়বারের মতো নির্মিত হচ্ছে। এ ধরনের সেতুর এক্সপার্ট কম। সেতুর ফাউন্ডেশন ও পানির গতিপথ পরিবর্তনের কারণেই কাজ বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া সেতুর ডিজাইনও পরিবর্তন হয়েছে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়