স্কুলে থাকবে না দ্বিতীয় শিফট
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৪
- দুই পালা চালু আছে ৪৬৫ স্কুলে। শিক্ষার্থী আছে সাড়ে সাত লাখের বেশি।
- আগামী বছরই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় পালায় শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হচ্ছে।
- দুই পালাকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অন্তরায় বলছে মাউশি অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আর দ্বিতীয় পালা (শিফট) থাকছে না। দেশের যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় পালা চালু আছে, সেগুলো আগামী পাঁচ বছরে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। এর অংশ হিসেবে আগামী বছর দ্বিতীয় শিফটে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যুক্তি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই পালা নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বাধা। দুই পালার বিদ্যালয়ে শিখন ঘণ্টা যথাযথ অনুসরণ করা না যাওয়ায় শিখন মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত না করে তাড়াহুড়োর মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পক্ষে নন শিক্ষাবিদেরা। তাঁরা বলছেন, হঠাৎ একটি পালা বন্ধ করা হলে ওই শিক্ষার্থীদের জায়গা হবে কোথায়? নামী বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হারাবে অনেকে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৪৬৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রভাতি ও দিবা নামে দুই পালা চালু আছে। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬৫টি, বেসরকারি ৩০০টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৭ লাখ ৫২ হাজার ৩৪১ জন। দুই পালার কোনো কোনো বিদ্যালয়ে প্রভাতি শাখায় ছাত্রী ও দিবা শাখায় ছাত্র রয়েছে।
দ্বিতীয় পালা বন্ধ হলে এমন ব্যবস্থা থাকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি অর্ধেকে নেমে আসবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ একরামুল কবির বলেন, পর্যাপ্ত মানসম্মত বিকল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি না করে তাড়াহুড়োর মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। না হলে শিক্ষার্থীদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। কেননা, ভালো বিদ্যালয়েরই দ্বিতীয় পালার চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, এমন হলে মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে সন্তানকে পড়াতে অভিভাবকদের ভোগান্তি বাড়বে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ২১ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখার সভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় পালা বন্ধের এবং নতুন করে কোনো বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় পালা চালুর অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, দুই পালার বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংকট হতে পারে। কারণ, নতুন শিক্ষাক্রমে কার্যক্রমভিত্তিক শিখন অন্তর্ভুক্ত থাকায় ক্লাস চলবে ৫০ মিনিট করে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় পালা বিলুপ্ত হবে।
সভায় দুই পালার বিদ্যালয়ে শনিবারও পাঠদানের এবং শাখা ক্যাম্পাস থাকা বিদ্যালয়গুলোর প্রতি শাখার জন্য আলাদা শনাক্তকরণ (ইআইআইএন) নম্বর দেওয়ার ও পৃথক অ্যাডহক কমিটি করারও সিদ্ধান্ত হয়। শিগগির এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে অফিস আদেশ জারি করা হবে। তবে শনিবার পাঠদানের সিদ্ধান্ত আগামী ৪ মে কার্যকর হচ্ছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) একাধিক কর্মকর্তা জানান, দুই পালার বিদ্যালয়ে শিখন ঘণ্টা অনুসরণ সম্ভব হয় না। এ ছাড়া শিখনকালীন মূল্যায়নেও সমস্যা হয়।
জানতে চাইলে গতকাল রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-২) মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। শিগগির মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করা হবে। সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণি কার্যক্রম ৬ ঘণ্টা। দুই পালার বিদ্যালয়ে তা হবে ১২ ঘণ্টা। দিনে একজন শিক্ষকের পক্ষে ১২ ঘণ্টা শ্রেণি কার্যক্রম চালানো কষ্টসাধ্য। এতে অনেক ক্ষেত্রে শিখনের মান ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
অবশ্য শিক্ষকেরা বলছেন, অধিকাংশ সরকারি বিদ্যালয়েই দুটি পালা রয়েছে এবং প্রতি পালার জন্যই পৃথক শিক্ষকেরা রয়েছেন। শুধু প্রধান শিক্ষক একজন। নামী বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেও প্রতি পালার জন্য আলাদা শিক্ষক রয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, যারা ইতিমধ্যে দ্বিতীয় পালায় পড়ছে তাদের পর্যায়ক্রমে শিক্ষাজীবন শেষ করার সুযোগ দিতে হবে। শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। না হলে সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
অবশ্য দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এক পালায় চালানোর পরিকল্পনা ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
জানতে চাইলে গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে, অচিরেই তা আলোর মুখ দেখবে।
২১ এপ্রিল বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখার সভায় উপস্থিত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব বিদ্যালয়ের একাধিক শাখা ক্যাম্পাস রয়েছে, সেগুলোকে প্রতিটি শাখার জন্য আলাদা ইআইআইএন নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে প্রতিটি শাখা একেকটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানও হবেন আলাদা।
বর্তমানে একটি বিদ্যালয়ের একাধিক শাখা থাকলেও পরিচালনা কমিটি একটিই। প্রতিটি শাখার জন্য পৃথক শাখাপ্রধান থাকলেও প্রতিষ্ঠানপ্রধান একজনই।
ঢাকার মিরপুরের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের তিনটি, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনটি, সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছয়টি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনটি শাখা রয়েছে। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী ২৫ হাজার ৪৫৮ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, একই পরিচালনা কমিটি এবং একই প্রতিষ্ঠানপ্রধানের মাধ্যমে শাখা ক্যাম্পাসগুলো ভালোভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ওঠে। এসব বিবেচনায় শাখা ক্যাম্পাসকে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ভারতের পেঁয়াজ
- প্লাস্টিক বর্জ্যে সড়ক
- ঋণ পাবেন না খেলাপিরা
- ১৫ শতাংশ কর দিলে কালোটাকা সাদা
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ছে
- অসহনীয় মামলা জটে বিচার বিভাগ ন্যুব্জ: প্রধান বিচারপতি
- বদলাচ্ছে ধর্ষণের সংজ্ঞা প্রস্তাবে যুক্ত তৃতীয় লিঙ্গ
- আনন্দের ঢেউ কর্ণফুলীতে
- ভারতের নির্বাচনের পর ভিসা সহজ করা নিয়ে আলোচনা
- সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের
- বড়াইগ্রামে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময়
- সিংড়ায় সেলাই মেশিন বিতরণ
- নাটোরে ৪০ গ্রাম হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
- নাটোরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করায় প্রার্থীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা
- বড়াইগ্রামে বোরো ধান-চাল ও গম সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে :পলক
- সব হাসপাতালের লিফটের সেফটি পরীক্ষার নির্দেশ
- বস্তিবাসীর জন্য ফ্ল্যাট বানাবে সরকার
- অবশেষে দেশের মাটিতে নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ
- সবাইকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে
- গেটলক সিস্টেমে যানজটমুক্ত মহাখালী
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ চলছে
- বনপাড়া হাইওয়ে থানার উদ্যোগে ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠিত
- নলডাঙ্গায় ট্রাকের সঙ্গে ধানমাড়াই মেশিনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১
- বাগাতিপাড়ায় ওজনে কম দেয়ায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- বাগাতিপাড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন
- শেষ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩৪ প্রকল্প
- নাটোরে ট্রাক চাপায় কলেজছাত্র নিহত
- বাগাতিপাড়ায় ড্রামের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় বাস্তবতার ছাপ
- বড়াইগ্রামে বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
- নাটোরে অনুষ্ঠিত হবে দেশের প্রথম জিআই পণ্য মেলা
- নাটোরে ৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
- ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচলে বন্ধ থাকবে ১৫০ উপজেলায়
- নাটোরে ট্রাক চাপায় কলেজছাত্র নিহত
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস
- আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী: পলক
- নাটোরের ৩ উপজেলায় ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
- বড়াইগ্রামে হিট স্ট্রোকে জমিতেই কৃষকের মৃত্যু
- বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা: ওবায়দুল কাদের
- নাটোরে বিপুল পরিমাণ দেশী অস্ত্রসহ গ্রেফতার-১
- ঢাকাসহ ৭ বিভাগে বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা
- নাটোরের তিন উপজেলায় নির্বাচিত হলেন যারা
- বড়াইগ্রামে মাঠে প্রাণ ফেরাতে খাল খনন শুরু
- গুরুদাসপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র
- বড়াইগ্রামে পুুকুরে বিষ দিয়ে ১০ লাখ টাকার মাছ নিধন
- বাগাতিপাড়ায় চুলার আগুনে পুড়লো বাড়ি
- সিংড়ায় ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বাড়ছে যুক্ত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- রেলপথে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা, শুরু জুলাই থেকে
- চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ
- নাটোরে প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন
- নাটোরে ৩ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১ প্রার্থী
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- সিংড়ায় পুকুর খননে ৬ লাখ টাকার নালা বিনষ্ট, কাউন্সিলর গ্রেফতার
- বাগাতিপাড়ায় জেল থেকে বেরিয়ে খুন হলেন হত্যা মামলার আসামি মোহন
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন