বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩
নাটোরের সিংড়ায় যমজ তিন কন্যা শিশুর খাবার জোগাতে চরম দরিদ্রতায় দিন কাটানো পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব রাকিবুল ইসলাম যমজ তিন শিশুর বাড়িতে গিয়ে মা সুমি আক্তারের হাতে প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মো. এমরান আলী রানা, সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন আরিফ, সিংড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সৌরভ, স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর জয়তুন বেগম প্রমুখ।
‘জমজ তিন শিশুর খাবার জোগাতে দিশেহারা দিনমজুর বাবা’ এই শিরোনামে ১৩ই মার্চ সংবাদ প্রকাশের পর সংবাদটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির নজরে এলে তিনি যমজ তিন কন্যা শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
নাটোর জেলার সিংড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম ও সুমি আক্তার দম্পতি তিন যমজ কন্যা শিশুর জন্ম দেয়। দেশের বড় তিন নদী পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নাম অনুসারে শিশুদের নাম রাখা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মাস আগে নাটোরের সিংড়া পৌর এলাকার আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার দম্পতি একসঙ্গে তিন যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তিন যমজ কন্যা শিশু ছাড়াও সংসারে আগেও ৫ বছর বয়সি একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
যমজ তিন কন্যার জন্ম হওয়ায় পরিবারে বেশ আনন্দেই দিন কাটছিল। কিন্তু কিছু দিন যেতেই সেই আনন্দে দরিদ্রতার কালো মেঘে ছায়া নেমে আসে। সন্তানদের মুখের আহার জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারকে। বাবা আরিফুল ইসলাম দিনমজুরের কাজ করেন।
সংসার আর সন্তানদের খাবার জোগাতে কখনো রাজমিস্ত্রী, কখনো আবার রিকশা চালিয়ে সন্তানদের জন্য দুধ ও সংসারের খরচ মিটাতে হচ্ছে বাবাকে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ বাজারে দিনমজুরের কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে তিন যমজ সন্তানের দুধ আর পরিবারের মুখে খাবার জোগাতে চরম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ফলে খাদ্যের অভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে যমজ তিন শিশুসহ পরিবার।
প্রতিমন্ত্রীর আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে মা সুমি আক্তার বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আমাদের পরিবারের অবস্থা বিবেচনা করে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞতা। আমার স্বামী একজন দিনমজুর। তার একার দিনমজুরের কাজ করে শিশুদের খাবার ও সংসার খরচ চলে না। মন্ত্রী মহোদয় স্বামীর একটা কর্মের ব্যবস্থা এবং আমাদের একটি গৃহের ব্যবস্থা করে দিলে আমরা চার সন্তান নিয়ে বসবাস করতে পারতাম। আমাদের পরিবারটি খুবই উপকৃত হতো।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়