শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২০
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গণজমায়েত থেকে দুরে থাকার কথা বলা হলেও বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্যতম বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র জোনাইল হাট চালু রাখা হয়েছে। কোন স্থানে ৫-৭ জন লোক একত্রিত না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হলেও তা না মেনে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ মদদে শনিবার এ হাট বসানো হয় বলে জানা গেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাট বন্ধ করে দিলেও তার আগেই অধিকাংশ বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়।
জানা যায়, সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার এ হাট বসে। এ হাটে প্রতি হাটবারে ৮-১০ হাজার লোকের সমাগম হয়। চলতি বাংলা সনের শুরুতে সরকারী ডাকে অংশ নিয়ে কোন ইজারাদার এ হাট ডেকে নেননি। এ কারণে ইউএনও অফিসের তত্ত্বাবধানে জোনাইল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা প্রতি হাটবারের আগের দিন খোলা ডাকে এ হাট ইজারা দিয়ে থাকেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা জুড়েই সব হাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কিন্তু ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুক্রবার ডাক সম্পন্ন করে শনিবারও এ হাট চালু রাখেন। হাটে শুধুমাত্র পশু হাট বাদে কাঁচামালসহ চৈতালী হাটা, ধান হাটা, রসুন হাটা, পিঁয়াজ হাটা, কাপড়পট্টি, মুরগী হাটা, বাঁশ হাটা, মাছ ধরার সামগ্রী ও ভাঙ্গারী হাটা পৃথকভাবে ইজারা দেন। শনিবার ভোর থেকে ৭-৮ হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড়ে হাটটি বড় সড় গণজমায়েতে পরিণত হয়। করোনা আতঙ্কের মধ্যেও নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে এভাবে হাট বসানোর ঘটনায় স্থানীয় সচেতন লোকজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জোনাইল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাঁচামালসহ অন্যান্য দুএকটি পণ্যের হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। এ সময় তিনি নিজে উপস্থিত থেকে পশু হাট ছাড়া সব হাটের ইজারা দিয়েছেন এমন প্রমাণ আছে জানালে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন হাট বসানোর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে গিয়ে বেচাকেনা বন্ধ করে সবাইকে সরিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ জানান, আমি জোনাইল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে হাটের তরিতরকারীসহ পচনশীল পণ্যের দোকানগুলো শুধু ইজারা দিতে বলেছিলাম। কিন্তু এর চেয়ে বেশি ইজারা দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
স/সা
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়