বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৮ ১৪৩১
|| ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪
কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রচলিত পদ্ধতি বাদ দিয়ে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের মতে এটিকে ‘সমলয়’ পদ্ধতি বলে। এই পদ্ধতির ফলে ধান চাষাবাদে শ্রমিকসংকট নিরসন, উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচ ও সময় বাঁচবে বলে জানা গেছে।
চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে প্রাথমিকভাবে উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মধুপুর বামনেরহাট এলাকায় ৩৫ শতক জমিতে চার হাজার ৫০০ প্লাস্টিকের ট্রেতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছে।
সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলা ও চারা রোপণের বিষয়টি এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে বেলে মাটিতে জৈব সার সংমিশ্রণে প্লাস্টিকের ট্রেতে ধানবীজ বপন করা হয়। ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে এই বীজ চারা রোপণের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। এতে করে বাড়তি সারের প্রয়োজন হয় না।
ট্রেতে চারা উৎপাদনে জমির পরিমাণও কম লাগে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। ফলে ফলনও বাড়ে। একসঙ্গে চারা রোপণ করায় ধান একসঙ্গে পাকবে এবং একসঙ্গে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।
সমলয় পদ্ধতির ব্যাপারে কথা হয় বামনেরহাট এলাকার বর্গাচাষি আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে জমি তৈরি করে ধানের বীজ লাগাইছিলাম। এবার মেশিনের সাহায্যে ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা হয়। এভাবে কখনো আবাদ করিনি।
ধরনীবাড়ী ইউনিয়ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ৯০ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদের জন্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
এতে শ্রমিক লাগবে না, সব যন্ত্রের মাধ্যমে হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে এসব চারা রোপণ করা হবে। সমলয় পদ্ধতিতে কাটা-মাড়াই হবে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়