বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮
পেট্রোলিয়াম জেলি। ত্বকের আদ্রতা রক্ষায় একটি প্রসাধনী সামগ্রী। শীত আসলেই এর কদর বেড়ে যায়। কেননা শীতে আদ্রতা হারিয়ে ত্বক, ঠোঁট, হা-পা ফেটে যায়। আর ত্বকের অবস্থা রোধ করতে পারে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাজলিন।
কিন্তু একটু সাবধান না হলে এই সুরক্ষাকারী সামগ্রীটি হয়ে যেতে পারে ক্ষতির কারণ। কেননা কয়েকটি রাসায়নিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি পেট্রোলিয়াম জেলি। এর প্রধান উপাদান হলো- হাইড্রোকার্বন যা হলো হাইড্রোজেন ও কার্বনের যৌগ বা অণু। আমরা যে মিথেন গ্যাস জ্বালাই, সেটি হাইড্রোকার্বন। গাড়িতে যে পেট্রল, অকটেন ইত্যাদি ব্যবহৃত হয় সেগুলোও হাইড্রোকার্বন। খাবারের তেল এমনকি মোমও হাইড্রোকার্বন।
পেট্রোলিয়াম জেলিতে বিভিন্ন ধরনের হাইড্রোকার্বন অণু থাকে। সেগুলোতে কার্বন সংখ্যা প্রায় পঁচিশ বা তারও অধিক। আর এইসব রাসায়নিক হাইড্রোকার্বণের মাধ্যমেই তৈরি আমাদের ত্বকে ব্যবহৃত ভেজলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি।
ত্বকে, পেট্রোলিয়াম জেলি একটি আবরণের মতো কাজ করে। ত্বকের কোষে যে পানি থাকে, তা বাষ্পীভূত হতে পারে না। ফলে ত্বক শুষ্ক হয় না। বিভিন্ন উদ্ভিদেও হাইড্রোকার্বনের এমন আবরণ দেখা যায়। কচুপাতা যে পানিতে ভিজে না, তার কারণ সেটাই।
একসময় পেট্রোলিয়াম জেলি সহজলভ্য ছিল না। মানুষ ত্বকের যত্নে তেল ব্যবহার করত। বাংলাদেশে নারিকেল ও সরিষার তেল একসময় বহুল প্রচলিত ছিল। সীমিত পরিসরে এখনও তেল ব্যবহৃত হয়। তবে আধুনিক নাগরিক জীবনে মানুষ এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগন্ধি পেট্রোলিয়াম জেলিই ব্যবহার করেন। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে। তাহলে সতর্ক বার্তাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
পেট্রোলিয়াম জেলি আপনার ত্বকের ছিদ্রগুলোর ওপর আস্তরণ তৈরি করে ত্বককে আদ্রতা থেকে রক্ষা করে। কিন্তু অনেক সময় ধরে ব্যবহারের কারণে এটি ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে ।
যাদের মুখে ব্রণ ও র্যাশ আছে তাদেরকে ভ্যাসলিন ব্যবহার না করারই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পেট্রোলিয়াম জেলির তৈলাক্তভাব আপনার ত্বকের সমস্যাগুলোক আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়