শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২০
নাটোরের লালপুরে কদিমচিলান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ছোট-বড় বেশ কিছু গাছ এবং বড় একটি বট গাছের মোটা কয়েকটি ডাল কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঐ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার চন্দন কুমার ও তার সহযোগী এফ.টি.আর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারী) সকালে লোক চক্ষুর আড়ালেই ঘটনাটি ঘটায় তারা কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে কেটে ফেলা গাছের গুড়ি ও ডালপালা দ্রুত সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করলে স্থানীয় সাংবাদিকদের বাধার মুখে পড়ে।
এ বিষয়ে এফ.টি.আর রফিকুল ইসলাম বলেন, এগুলো ছোট বিষয়, এগুলো কোন সমস্যা নয় এবং এক পর্যায়ে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্তর থেকে পালিয়ে যান।
গাছ কাটার কোন অনুমতি আছে কিনা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে, উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার চন্দন কুমার জানান, কোন অনুমতি নেই, কাউকে অবগত করা হয়নি, আমাদের র্ধতন কর্মকর্তা জানেন। কিন্তু কোন লিখিত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
তিনি আরও বলেন, তাদের সভাপতি কেটে ফেলা গাছ বিষয়ে দ্রুত একটি রেজুলেশন করার নির্দেশ দিয়েছে। কদিমচিলান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সভাপতি ‘কদিমচিলান ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মাষ্টার’ এর কাছে ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো তেমন কোন ব্যাপার না, ‘‘সাংবাদিকরা এগুলো না ঘাঁটলেও চলবে।’’
তিনি আরও বলেন, গাছ গুলো কেটে ফেলেছে, এগুলো হয়তো কোন আসবাবপত্র বানানোর জন্য। এগুলো নিয়ে ঝামেলা করা দরকার নেই। বিনা অনুমতিতে সরকারি গাছ কোন কর্মচারি কাটতে পারবে কি না? বিষয়ে জানতে চাইলে- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যূতি জানান, অনুমতি ছাড়া গাছ কেন! একটি ডালও কেউ কাটতে পারবে না, এটা সরকারের সম্পদ, ঘটনাটি তার জানা ছিলনা, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
স/এমএমআই
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়