শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২২
নাটোরের লালপুরে শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে ভোগান্তিতে হট্টগোল, বিক্ষোভ ও শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাংচুর করেছে বলে জানা গেছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের প্রথম দিনে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম সাহাব উদ্দিন বলেন, শনিবার লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৫৮ জন, লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭০ জন, বালিতিতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৬১ জন, লালপুর থানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬২ জন ও বালিতিতা ফাজিল মাদ্রাসার ৮০ জন শিক্ষার্থীর টিকা প্রদানের তারিখ নির্ধারিত হয়। সকাল ৯ টা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে ১২-১৮ বছরের স্কুল শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হলেও সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্ত্বরে শিক্ষাথীরা ভীড় করতে থাকে। কারো কারো সাথে একাধিক অভিভাবকও আসতে থাকেন।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা বলেন, টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে শিক্ষার্থীরা। নানা অব্যবস্থাপনায় নির্বিঘ্নে টিকাদানে ভোগান্তিতে পড়ায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। হট্টগোলের একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্থীরা সভাকক্ষের দরজা ও কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে। মেয়েকে নিয়ে আসা এক ছাত্রীর মা বলেন, একসঙ্গে সবার টিকা দেওয়া হচ্ছে, অথচ কোনো নিয়ম নেই। স্কুলে টিকা দেওয়া হলে এমনটা ভোগান্তি হতো না। বসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় রোদে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেক অভিভাবক এমন বিড়ম্বনার শিকার। টিকা নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলে, টিকা পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা নিতে এসে বেশ কষ্ট হয়েছে। নিজ প্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া ব্যবস্থা হলে এমন হতো না।
লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার সাহা বলেন, তাড়াহুড়ো করে ৬৭০ জনকে টিকার জন্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। অনেকে বাদ পড়েছে, ধীরে ধীরে দিলে ভালো হতো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি থাকায় প্রথম দিনে টিকাদানে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। পরবর্তীতে আর সমস্যা হবে না বলে আশা করেন তিনি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা এক সাথে ভীড় করায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, প্রথম দিন বুঝতে না পারায় কিছুটা সমস্য হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন এক হাজার ৫০০ জনের টিকা কার্যক্রমের সুবিধা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভীড় করে। আজকের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে আগামীতে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে শিক্ষকরা সঙ্গে নিয়ে আসবেন। চিহ্নিত করতে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়