শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২২
বাংলাদেশের প্রকৃতিতে গ্রীষ্মকালের বাহার কৃষ্ণচূড়া আর বসন্ত মানেই শিমুল ফুল। চোখ মেলনেই বিভিন্ন রাস্তা, মোড়ে আর আঙ্গিনায় মনকাড়া কৃষ্ণচূড়ার গাছ। সবুজ চিকন পাতার ফাঁকে আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। যেন চোখ জুড়িয়ে যায় আর আনন্দে মন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে।
কৃষ্ণচূড়ার ফাঁক গলিয়ে চঞ্চল ঘুঘু-শালিকের ওড়াউড়ি, কৃষ্ণচূড়ার পাতা-ফুল আর কালবৈশাখী মেঘ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। দৃশ্যটিই মনে হবে স্বপ্নের মতো।
গতকাল রোববার সরেজমিন দেখা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলা জুড়ে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। প্রায় সব জায়গাতেই কমবেশি গাছ দেখা যায়। ফুলের সমারোহ মনকে আবেগী করে তোলে। দৃষ্টিনন্দন ফুল সবচেয়ে বেশি মন কাড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কৃষ্ণচূড়ার গাছগুলো। ফুলের লাল পাপড়ি বিছানো গাছতলা যেন লালগালিচা সংবর্ধনা জানাচ্ছে। এছাড়াও নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেড ও লালপুর থানার গাছও নজর কাড়ে।
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মমিনুল ইসলাম (৫৫) বলেন, কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্যে মন ভাল হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে শরীরের অসুখ-বিসুখ দূর হয়ে গেছে। প্রকৃতি মানুষের বড় বন্ধু সেটা বুঝতে পারছি।
হাসপাতালের প্রবীণ কর্মচারী আব্দুর রশিদ (৬৩) বলেন, সৌন্দর্য প্রিয় ডা. মো. মুজিবুর রহমানের সময় ১৯৭৫ সালের দিকে হাসপাতালে কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন ফল ও ফুলের গাছ লাগানো হয়। সে অনুযায়ী গাছগুলো বয়স প্রায় ৪৭ বছর।
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মমতাজুল হাসান শিমুল বলেন, কৃষ্ণচুড়ার রক্তিম প্রকৃতি লালপুর নামের মর্মার্থ ও সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আমাদের অনুভব করার সময় এখন।
তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (সিভিল সার্জন হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত) ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, তিন মেয়াদে লালপুর হাসপাতালে প্রায় ১৫ বছর কর্মরত ছিলেন। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় রোপিত ছোট গাছগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। কোন সময় লালপুরে আসলে এখানকার প্রকৃতি আর মানুষগুলো আবেগী করে তোলে। লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুলগাছগুলো যেন আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে পথ চেয়ে অপেক্ষা করছে। আমার ভাল লাগে গাছগুলো মানুষকে প্রকৃতির ছোঁয়া দেয়। হৃদয়ে ভালবাসার অনুভূতি যোগায়।
কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি ফ্যাবেসি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ যা গুলমোহর নামেও পরিচিত। কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জল সবুজ পাতা একে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। সাধারণত এপ্রিল-জুন সময়কালে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়