শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০
লালপুর উপজেলায় আমের আগাম বার্তা নিয়ে এসেছে আমের মুকুল। মাঘের কনকনে শীতে নির্ধাররিত সময়ের এক মাস আগেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম গাছ গুলিতে দেখা মিয়েছে আগম মুকুলের।
ঋতু পরিক্রমায় সময় না হলেও আমের হলুদ মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধই জানান দিচ্ছে মধুমাস জৈষ্ঠ্যের আগমন। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও নাটোর জেলাও এখন কোনো অংশে কম নয়। দুই দফা বৃষ্টির পর নতুন করে শীত জেঁকে বসলেও আবহাওয়াগত কারণে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই গাছগুলোতে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
তবে ঘন কুয়াশা হলে এই সকল আগাম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লালপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, গত বছর এই উপজেলায় ১ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান ছিলো। এই সকল জমি থেকে ২৬ হাজার ৯৮০ মেক্ট্রিকটন আম উৎপাদন হয়েছিলো। চলতি বছরে বাগানের পরিমাণ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর প্রায় ৩০ হাজার মেক্ট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানকার চাষকৃত উল্লেখযোগ্য জাতের আম হলো, ফজলি, নেংড়া, খেরসাপাত, গোপালভোগ, আম্রপালি ও লখনা অন্যতম।
সম্প্রতি কথা হয় উপজেলার ওয়ালিয়া এলাকার আমচাষী তফিজ উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই এখানকার আম গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমচাষীরা ব্যাপক লাভবান হবে।
আমচাষী মোস্তফা কাউছার বলেন, জানুয়ারি মাসের প্রথমেই এখানকার অনেক গাছেই মুকুল এসেছে। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে বলে তিনি জানান।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমের জাত এবং আবহাওয়াগত করণে প্রায় একমাস আগেই আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে আগাম মুকুলের ক্ষতিহবে। যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে, তাহলে চলতি মাসের শেষে সব গাছেই মুকুল দেখা দিবে।
স/এমএস
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়