শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২২
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার আব্দুলপুর থেকে রাজশাহী অভিমুখে রেললাইনের পাঁচটি লেভেল ক্রসিংয়ের সব কটিই অরক্ষিত।
এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান এবং কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও রাখা হয়নি। ফলে উন্মুক্ত রেলগেট দিয়ে যানবাহন, সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এসব ক্রসিংয়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনা থেকে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।
স্থানীয়রা জানায়, আব্দুলপুর থেকে রাজশাহী অভিমুখে লোকমানপুর স্টেশনের দুই পাশের পাঁচটি লেভেল ক্রসিংয়ের সবকটিই অরক্ষিত। এগুলো হলো মাড়িয়ার নিংটিপাড়া, হাড়ডাঙ্গী, মালিগাছা, গাঁওপাড়া ও ঝিনা। আর এই পাঁচটি লেভেল ক্রসিংয়ের সব কটি উন্মুক্ত থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
গত কয়েক বছরে মাড়িয়া নিংটিপাড়া রেলগেটে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি, চিথলিয়া গ্রামের ফজিলা নামে এক গৃহিণী এবং আইয়ুব আলী। এ ছাড়া মাঝেমধ্যেই এই রেল গেটে গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন জীবজন্তু ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়।
হাড়ডাঙ্গী রেলগেট-সংলগ্ন চায়ের দোকানদার জমসেদ আলী জানান, তিন বছর আগে তাঁর চোখের সামনে পারাপারের সময় একটি ট্রলি চলন্ত ট্রেনের ধাক্কা খায়। ট্রলির চালকসহ অন্যরা ছিটকে পড়েন। এতে আব্দুল খালেক সরকার নামে একজন মারা যান। তা ছাড়াও ওই গেটে প্রায় প্রতি বছরই যানবাহনসহ পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হন।
লোকমানপুর এলাকার সমাজকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘পাকা সড়ক সংলগ্ন এই রেল ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিবছরই এই গেটগুলোতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মানুষসহ বিভিন্ন জীবজন্তু।’
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘ওই রেলক্রসিংগুলো সরকার অনুমোদিত নয়। সেগুলো নিয়ম মেনে করা হয়নি। রেল বিভাগের তালিকায় না থাকায় জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না।’
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়