শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২২
বাংলাদেশ রেলওয়ের 'রেলসেবা' অ্যাপে ঢুকলে দেখানো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) 'ঘ' বগির একটি আসনও ফাঁকা নেই। তবে মূল স্টেশন অতিক্রম করার পরও দেখা যায় অর্ধেক আসন ফাঁকা পড়ে আছে। একই দৃশ্য দেখা যায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত 'গ' বগিতেও।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা এমন ভোগান্তিতে পড়লেও এই সমস্যার নেপথ্যে কী, তা জানাতে পারেননি সংশ্নিষ্টরা। ফলে রেলের টিকিট বিক্রির অনলাইন ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। ওই দিন ভুক্তভোগী অনেকের মধ্যে ছিলেন এই প্রতিবেদকও।
তিনি নাটোর যাওয়ার জন্য প্রথম দফায় শোভন শ্রেণির টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে গতকাল বুধবার সকালের জন্য একই ট্রেনের 'ঘ' বগির টিকিট সংগ্রহের জন্য অনলাইনে চেষ্টা করতে থাকেন। তিনিও অ্যাপসে বারবার ঢুকে দেখতে পান কোনো টিকিট নেই।
এ অবস্থায় কমলাপুর স্টেশন এলাকার এক যুবককে সমস্যাটি জানালে তিনি অ্যাপসে ঢুকে জানান, তিনি আসন ফাঁকা দেখতে পেয়েছেন। এরপর তার মাধ্যমে 'ঘ' বগির একটি কাটতে পারেন এই প্রতিবেদক। তখন ছিল রাত ৯টা।
গতকাল সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা হয় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানোর পর 'ঘ' বগির প্রায় অর্ধেক আসন খালি পড়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
বগির অর্ধেক আসন কেন খালি, বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন অনেকেই। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি কারও কাছ থেকে। ফলে এর নেপথ্যে অনিয়ম-দুর্নীতি থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেন কেউ কেউ।
এ ব্যাপারে জানতে নাটোর স্টেশন মাস্টার অশোক কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বগির অর্ধেক আসন খালি থাকার কারণ জানাতে পারেননি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার মাধ্যমেও একটি টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করেন এই প্রতিবেদক। তিনিও অনলাইনে ঢুকে কোনো টিকিট না পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।
নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের হেড বুকিং সহকারী সাবু সাঈদ জানান, অনলাইনে অনেক আগে থেকে টিকিট বুক হয়ে যায়। ফলে টিকিট শূন্য দেখায়। এ ছাড়া ভিআইপি যাত্রীদের জন্য ১২ ঘণ্টা আগে অনলাইনেরটিকিট ছাড়া হয়। সার্ভার সমস্যার কারণে অনেক সময় অনেকেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন না। এ জন্য সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনের জিএম অসীম কুমার তালুকদারও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, হয়তো একই সময়ে সবাই অনলাইনে চেষ্টা করায় টিকিট নেই দেখা যায়। এরপরও ট্রেনে আসন খালি পড়ে থাকা বা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করা নিয়ে বিড়ম্বনার বিষয়টি আইটি বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করবেন তিনি।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়