শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ঘোষণা করবেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। এই আদেশের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে অবিচার হয়েছে সেটির ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সহজ ও প্রশস্ত হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কোর্টে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনেছি। মিয়ানমার তাদের যুক্তি জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারেনি। আমরা আশা করছি যে পাঁচটি বিষয়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে, তার সব না হলেও একটি বড় অংশের জন্য আদেশ দেবেন আদালত।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মূল মামলার শুনানির পর কোর্ট গণহত্যা হয়েছে কিনা বা গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল কিনা, সে বিষয়ে তাদের চূড়ান্ত রায় দেবেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হলে কোর্ট এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিতে পারেন।’
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংগঠন এবং জাতিসংঘের সংগ্রহ করা প্রমাণ কোর্টে উপস্থাপন করেছে গাম্বিয়া। কোর্ট যদি অন্য কোনও ধরনের আদেশ দেন তবে জাতিসংঘের গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হতে পারে।’
তবে তিনি বলেন, ‘কোর্ট অবশ্য প্রমাণের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর নির্ভর করে রায় দেবেন। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সংগ্রহ করা প্রমাণ অথবা অন্য কেউ জোগাড় করেছে ওই বিষয়টি তাদের কাছে কম গুরুত্ব পাবে।’
যে বিষয়গুলোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে গণহত্যা বন্ধের জন্য মিয়ানমার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে; মিলিটারি, প্যারামিলিটারি ও বেসামরিক অস্ত্রধারী ব্যক্তি যাতে কোনও ধরনের গণহত্যা না চালাতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া; মিয়ানমার গণহত্যা সংক্রান্ত কোনও ধরনের প্রমাণ নষ্ট করবে না; এবং বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল ও খারাপ করে এমন কোনও কাজ করবে না। পঞ্চম বিষয়টি হচ্ছে আদেশের পরে আগামী ৪ মাসের মধ্যে উভয়পক্ষ তাদের নেওয়া পদক্ষেপ কোর্টকে অবহিত করবে।
রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মাধ্যমে মিয়ানমার গণহত্যা প্রতিরোধ ও শান্তি কনভেনশন ভঙ্গ করেছে বলে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করে গাম্বিয়া। প্রায় ৫০ পাতার ওই আবেদনে রোহিঙ্গারা রাখাইনে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে এবং এর ফলে গণহত্যার মতো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এই বিষয়টি উল্লেখ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে গাম্বিয়া। যেহেতু এ ধরনের মামলা অনেকদিন ধরে চলে, সেজন্য ওই একই আবেদনে পাঁচটি বিষয়ে কোর্টের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চায় দেশটি। এ বিষয়ে শুনানি হয় ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১২ তারিখে। সেখানে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়