শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাকির হোসেন মিশ্র ফলের বাগান করে সফল হয়েছেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও একনিষ্ঠতা তাকে সফলকাম করে তুলেছে। বর্তমানে তার বাগানের শত শত গাছে ঝুলে আছে মাল্টা, পেয়ারা ও অন্যান্য ফল। তার সফলতা দেখে অনেকে ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালে নিজের কয়েক শতক ও অন্যের কাছ থেকে কিছু জমি লিজ নিয়ে মোট পাঁচ বিঘা জমিতে মিশ্র বাগান শুরু করেন। বর্তমানে তার বাগানে ৬০০টি পেয়ারা গাছ, ৬০০টি মাল্টা গাছ ও কয়েকশত বরই গাছ রয়েছে। যা থেকে বছরে প্রায় ৮ লাখ টাকা আয় করছেন।
জাকির হোসেন বলেন, আমি ২০১৯ সালে মিশ্র বাগান করা শুর করি। পরের বছরই গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রথম বছর তেমন লাভ না হলেও তারপরের বছর লাভবান হই। ফলকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করি। আর আমি সহ আরো কয়েকজন মিলে বাগানের পরিচর্যা করি।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে আমার বাগানে ফলের বাম্পার ফলন হয়। প্রায় প্রতিটি গাছেই প্রচুর ফল ধরেছিল। তখন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার শুধু পেয়ারাই বিক্রি করি। এবছরও পেয়ারার ভালো ফলন হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ লাখ টাকার পেয়ারা, ৩ লাখ টাকার মাল্টা ও প্রায় লক্ষাধিক টাকার বরই বিক্রি করেছি। প্রতি বছরই লাভের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি বছর মিশ্র ফলের বাগান থেকে প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা আয়। আশা করছি এবছর আরো বেশি আয় হবে।
তিনি কিছুটা হতাশ হয়ে বলেন, বাজারে কীটনাশক, সার সহ কৃষি কাজে ব্যবহৃত সকল জিনিসের দাম বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে বাগানের মালিক ও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, জাকির হোসেন খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। সবাই উদ্যোগী হলে দেশে আর বেকারত্ব থাকবে না। কৃষি বিভাগ সকল চাষিদের সহযোগীতা করতে প্রস্তুত।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়