মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি ‘সার্ভিস ডেজ’র আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)। ‘সার্ভিস ডেজ’ চলাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) নিয়ে আইএসডির বিভিন্ন অংশীদার প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সাথে স্বেচ্ছাশ্রম ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নানা কমিউনিটি সেবা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প উন্নয়নে অংশ নেয়।
এর মধ্যে কিছু সেবামূলক কার্যক্রম শ্রেণিকক্ষেই সাধারণ পাঠ হিসেবে করা হয় এবং অন্যান্য কার্যক্রম পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম (এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ) হিসেবে করা হয়। এ প্রকল্পের অধীনে, গ্রেড ৬ থেকে গ্রেড ১২- এর ৪০ জন নেতৃপর্যায়ের শিক্ষার্থী ও ২৩৫ জন সাধারণ শিক্ষার্থী কমিউনিটি সম্পর্কে জানতে এবং কমিউনিটির সেবাদানে প্রকল্পগুলোতে কাজ করে।
নেতৃপর্যায়ের এ ৪০ জন শিক্ষার্থী গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ঢাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছে। এ ছাড়াও, ‘সার্ভিস ডেজ’ চলাকালীন ৬০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
দারিদ্র্য, বৈষম্য, জলবায়ু, পরিবেশগত বিপর্যয়, সমৃদ্ধি, শান্তি ও ন্যায়বিচারের মতো বিষয় যা এসডিজি অর্জনে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত; ২০৩০ সালের মধ্য এসব বিষয়ে এসডিজির লক্ষ্য অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পিএফডিএ-ভিটিসির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান ড্যানি এবং ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার সিজার রহমান ‘সার্ভিজ ডেজ’- এর কার্যক্রমগুলোতে সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় শাহরিয়ার রহমান শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় সম্পর্কে জানান।
অনুষ্ঠানে আইএসডি সার্ভিস কো-অর্ডিনেটর সারাহ হারকিন বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সহমর্মী নেতৃত্ব গড়ে তোলা যারা টেকসই ভবিষ্যতের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলোর সাথে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে এবং এসিডিজি অর্জনে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই যেন স্বেচ্ছাসেবী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে এজন্য তাদের উৎসাহিত করা হয়। আর আমাদের শিক্ষার্থীরাও স্থানীয় কমিউনিটিকে সহায়তার ব্যাপারে আগ্রহী, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।’
ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সিজার রহমান বলেন, অনেকেই ভাবতে পারে বাংলাদেশে বন ও বন্যপ্রাণীর কোনো জায়গা নেই কিন্তু আমাদের জীববৈচিত্র্য সত্যিই অভিভূত হওয়ার মতো। এ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা দরকার। সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের ক্ষমতায়নে আমাদের দায়িত্ব হিসেবে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী নিয়ে জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। গ্রেড ১২- এর প্রকল্প এনভায়রনমেন্ট স্টাডিজ কোর্সের সাথে সম্পর্কিত এবং এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ দেখে আমি বেশ আশাবাদী।’
বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের ট্রাফিক নিয়ম শেখাতে পিএফডিএ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে (ড্যানি রহমান প্রতিষ্ঠিত) আইএসডি শিক্ষার্থীরা নতুন করে ‘সেনসোরি লার্নিং স্পেস’ তৈরি করে।
এ ছাড়াও, আইএসডি'র গ্রেড ৯- এর ২ শিক্ষার্থী ফাইজা ফারহীন ও সেরেনা আনিস সালাম গত বছর নিজেরাই স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ তৈরি করেছে। তাদের শিক্ষক মারিজ হামোন’কে নিয়ে প্রতিসপ্তাহে একবার করে নিয়মিতভাবে তারা পিএফডিএ-ভিটিসে’তে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে আসছে। এর পাশাপাশি, ‘সার্ভিজ ডেজ’- এর অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সে কচ্ছপ প্রজনন সাইট শিশুদের জন্য আরও উপভোগ্য করে তুলতে ম্যুরাল নকশা করে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়