শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
না ! পিঠে তাল পরা নয়, অথবা তীল থেকে তাল নয়। এখন ভাদ্র মাস। তাল পাকা গরমে পেকেছে তাল। চারেদিকে তাল থেকে তৈরি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদে, গন্ধে আর বাহারি নামের ,পায়েশ, মালপোয়া ,তালবড়া,ও কেকসহ নানা ধরনের পিঠা তৈরির আমেজের চলছে উৎসব। তবে তাল নিয়ে কথা বলতে গেলে মনে পড়ে ছোটবেলার পড়া ‘কবি খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন’এর সেই কবিতাটি ‘ওই দেখা যায় তালগাছ, ওই আমাদের গাঁ’। ওই খানেতে বাস করে কানা বগির ছা। তবে এখন আর কানা বগির ছা দেখা না গেলেও, দেখা মেলে বাবুই পাখির বাসা।
করাত বিশিষ্ট লম্বা ডাগুর ওয়ালা শক্ত ও বড় বড় পাতা হওয়ায় হয়তো এখানেই নিরাপদ আশ্রয় মনে করে বাবুই পাখি তার বাসা বাঁধে। এই গাছগুলো সাধারণত হয়ে থাকে রাস্তার দুই ধারে, অথবা পুকুর পাড়ে।এবং এগুলো দেখা যায় অনেক দূর থেকে। কারণ এর উচ্চতা হয় অনেক বেশি প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ফুট অথবা তারও অধিক। এ জন্যই বুঝি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন,” তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে ,উঁকি মারে আকাশে”।
তবে সব গাছেই কিন্তু তাল ধরে না। পুরুষ তাল গাছ গুলি শুধু রস দেয়। যা দিয়ে লালি ,গুড় ,পাটারি তৈরি হয়। যা তালের বিভিন্ন ধরনের পিঠা পায়েস তৈরিতে সহায়তা করে। তালে রয়েছে পুষ্টি ভরা নানা গুণ। যেমন একটি পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রামে জলীয় অংশ ৭৭ দশমিক ২ গ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৭ গ্রাম, আঁশ শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম, আমিষ শূন্য দশমিক ৭ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, শর্করা ২০ দশমিক ৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯ মিলিগ্রাম ও খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি রয়েছে। যার কারণে এটি শুধু পিঠা উৎসবেরই ফল নয়। বরং বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিরোধের একটি ঔষধি ফল।
এর দ্বারা বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা হয়। যেমন অনিদ্রায়, বকবকানি, গনোরিয়া, শ্বেত প্রদরে, রক্তপ্রদরে, অম্ল শ্রমে ক্লান্তিতে ,অম্ল অজীর্ণ ,ও পেট ব্যথায়,উদরী রোগে,মূত্ররোধে। এছাড়াও তালরস তিনটি আশয়ে প্রভাব বিস্তার করতে পারে আমাশয়, অগ্নাশয়,ও পচ্যমানাশয়ে। এছাড়াও তাল প্রাপ্ত বয়স্ক হবার আগে হয় তালশাঁস যা খুব সুস্বাদু ও সমাদৃত।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়