মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ৫ ১৪৩০
|| ০৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২১
নাটোরের বড়াইগ্রামে শেষ সম্বল খামারের ১ হাজার ৪শ’ মুরগি মরে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে খামারি আবু সাঈদের। খাস জমিতে বসবাস করে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন খামারটি।
কিন্তু সর্বনাশা রাণীক্ষেত রোগ তার সব স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে। নিজের সব পুঁজি হারিয়ে বর্তমানে পাগলপ্রায় অবস্থা খামারি আবু সাঈদের। আবু সাঈদ উপজেলা জোয়াড়ী গ্রামের মৃত সামু ব্যাপারীর ছেলে।
জানা যায়, আবু সাঈদ ব্যাপারী জোয়াড়ী গ্রামে খাস জমিতে দীর্ঘদিন যাবত স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি সেখানেই সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাকে দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি ও পাঁচ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রশাসন। সেখানেই তিনি মুরগির খামার গড়ে তোলেন। খামারে মুরগীর বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছিল। হঠাৎ করেই গত কয়েক দিনে রোগাক্রান্ত হয়ে তার সমস্ত মুরগি মারা যায়।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি মরা মুরগিগুলোর পাশে বসে বিলাপ করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি আবু সাঈদ জানান, তিনি মোট এক হাজার ৫৫০টি মুরগির বাচ্চা প্রতিটি ১২ টাকা দরে কিনে লালন পালন করছিলেন। তিরাইল বাজারের মুরগির খাবারের দোকানদার আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে ওষুধ ও খাবার কিনতেন তিনি। ৪৫ দিন বয়সী এক একটা মুরগি ৬’শ-৭’শ গ্রাম ওজন হয়েছিল। দিন পনের পরেই তিনি সেগুলো বিক্রি করতে পারতেন।
কিন্তু তার আগেই মুরগিগুলো মরে গেলো। এতে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এখন খাদ্যের ডিলারের দোকানের বাকি কিভাবে পরিশোধ করবেন সে দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার কুণ্ডু বলেন, রাণীক্ষেত রোগে খামারের মুরগিগুলো মারা গেছে। খামার মালিক রাণীক্ষেতের টিকার প্রথম ডোজ দিলেও দ্বিতীয় ডোজ দেননি। যার কারণে টিকা কোনো কাজ করেনি।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়