শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯
নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক সংস্কার শেষে বছর না ঘুরতেই বেহাল দশার সৃষ্টি হয় বরাবরই। নাটোর -পাবনা মহাসড়কে গত বছর বর্ষার পরে সড়কটির আহমেদপুর থেকে রাজাপুর পর্যন্ত প্রায় ২৪ কি.মি সংস্কার করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চলতি বছরের বর্ষায় মহাসড়কটির কার্পেটিং উঠে এখন হাজারো গর্তে ভরে গেছে। স্বাভাবিক চলাচল হয়ে পড়েছে প্রায় অসম্ভব।
বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজার, বনপাড়া বাইপাস, আহম্মেদপুর এবং গড়মাটিতে সড়কের ভাঙ্গা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে বনপাড়া বাইপাস এবং আহম্মেদপুর বাজার এলাকায় ভারী ট্রাক আটকে পড়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সওজের সকল আঞ্চলিক সড়ক চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে অনেক আগেই। সেখানে মাঝে মধ্যে ইট ফেলে দায়সারা সংস্কার করা হয় তাতেই শেষ।
এছাড়াও বনপাড়া বাজার ও আহম্মেদপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক নিরাপত্তার জন্য সম্প্রতি ডিভাইডার নির্মাণ করায় বেড়েছে বিড়ম্বনা, সড়ক ভেঙ্গেছে বেশী। ডিভাইডারের পাশ দিয়ে শুধুমাত্র একটি বাস-ট্রাক যাওয়ার মত জায়গা খালি রেখে অবশিষ্ট অংশ জুড়ে লোকাল বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ভ্যান ও ফুটপাতের বসতি দোকানে দখল হয়ে থাকে।
বিশেষ করে বনপাড়া বাজার মহাসড়কে, গোপালপুর রোডে দুরপাল্লার ও লোকাল বাসগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকায় প্রতিদিন সৃষ্টি হয় লম্বা জানজটের। আর সড়কের একটি নির্দিষ্ট অংশে গাড়ী চলাচলের ফলে গর্ত হয়ে গেছে সড়কের বিভিন্ন অংশ। সেসব স্থানে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে হাজারো গর্ত। সড়কের ওই অংশে কোনভাবেই যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল করা সম্ভব হয় না।
বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, বনপাড়া বাইপাস ও বাজার অংশে এবং আহম্মেদপুর বাজারের ডিভাইডার অংশে সড়কের অবস্থা এতটাই নাজুক, সেখানে সংস্কার করা না হলে এ পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে যেকোনো সময়।
মাদরাসা শিক্ষক হাকিমুর রহমান বলেন, বনপাড়া বাজারের সড়কের পাশে পানি জমে থাকে, মাঝ অংশে ভাঙা, ফলে পথচারীদের পায়ে হেটে চলাচল অসম্ভব হয়ে যায়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে চরম বিপাকে। প্রায়ই কাদাছিঁটে পোশক নষ্ট হয়ে যায় তাদের। এতে মাঝে-মধ্যে ফিরে যেতে হয় বাড়িতে।
কলেজ শিক্ষক আতিকুর রহমান মৃধা বলেন, বনপাড়া বাজারে ডিভাইডার নির্মাণের ফলে পথচারীদের সড়ক পারাপার নিরাপদ হয়েছে। কিন্তু দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনের কারণে দূর্ভোগ বেড়েছে চরমে। এছাড়াও নির্দিষ্ট অংশে গাড়ী চলাচল করায় সড়কের ক্ষতি হয়েছে অনেক গুণ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুভাস কুমার বলেন, সড়কে অতিরিক্ত লোড পড়ায় এবং কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয় ও ভেঙ্গে যায়।
স/শাহা
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়