শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২২
নাটোরের বড়াইগ্রামে গণধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদীকে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার ওই বাদী চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন জানিয়েছেন এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সাবেক ইউপি সদস্য জহুরা বেগম (৪৫) ও তার স্বামী স্বামী জরিফ আলী (৫০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় মেয়েটি (১৫) মায়ের সঙ্গে রাগ করে নানার বাড়ি যাবার পথে রয়না ফিলিং ষ্টেশন এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয়। ১৯ জুলাই মেয়েটির মা বাদী হয়ে উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামে ফরহাদ হোসেনের ছেলে শাহাদৎ হোসেন (২১) ও দেলু মন্ডলের ছেলে স্বপন মন্ডলের (২৪) আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন।
পুলিশ তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বজনরা মিমাংসার জন্য জোনাইল ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জহুরা বেগমসহ কয়েকজন গ্রাম প্রধানের স্মরণাপন্ন হন।
বাদী আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে আসামী পক্ষের নিকট থেকে দুইলাখ টাকা নিয়ে আমাকে মিমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাসহ গত মঙ্গলবার মারপিট করেন। মামলা প্রত্যাহার না করলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আমি আমার মেয়ের উপর করা নির্যাতনের সুষ্ঠ বিচার চাই।
ইউপি সদস্য জহুরা বেগম বলেন, নির্যাতনের স্বীকার মেয়েটি আমার দেবরের মেয়ে। বিষয়টি মিমাংসা করার সময় মেয়ের মা-বাবাসহ সকলেই উপস্থিত ছিল। তখন আমি ইউপি সদস্য ছিলাম না। টাকাটা সাবেক ইউপি সদস্য সাদেক আলীর নিকট জমা আছে। মামলা শেষ হলে তারা নিয়ে নিবে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, বাদীনিকে মারপিটের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়