শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯
নতুন কোন বটগাছ এখন আর চোখে পড়ে না। কেহ ইচ্ছে করেও বটগাছ রোপণও করে না। বটগাছের ছায়ায় বিশ্রাম ও ঘুম কতটা শান্তি আনে তা জানে গ্রামের কৃষক, জেলে,তাঁতী, শ্রমিকেরা। অতি চেনা ও প্রকৃতির অন্যতম বন্ধু এই ‘বটগাছ’ যখন গোড়া থেকে কাটা শুরু হয় তখন জনৈক এক সাংবাদিক স্থানীয় এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুুসের মোবাইল ফোনে অনুরোধ জানান, বটগাছটি রক্ষা করার জন্য। তাৎক্ষণিক এমপি’র নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়নের তিরাইল এলাকায় গ্রামীণ কাঁচা সড়কের পাশে অবস্থিত বটগাছটি শ্রমিক লাগিয়ে কাটা শুরু করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাক আহম্মেদ। গাছের ডালপালা কাটার পর গোড়ায় কুড়ালের কোপ পড়তেই স্থানীয় এক শিক্ষক মুঠোফোনে বড়াইগ্রামে কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি অমর ডি কস্তাকে বিষয়টি জানান।
সঙ্গে সঙ্গে ওই সাংবাদিক বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে জানান। পরে তাৎক্ষণিকভাবে গাছ কাটা বন্ধ করার জন্য এমপি কড়া নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, সড়ক পাকাকরণের কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের পরামর্শে বটগাছটি কেটে ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য।
মাঝগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম আশু জানান, এমপি সাহেবের ফোন পেয়ে আমরা সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে আর আধাঘন্টা পর ফোন পেলে হয়তো গাছটি বাঁচানো যেতো না।
মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল আলীম জানান, কাউকে না জানিয়ে ওই ইউপি সদস্য গাছটি কাটা শুরু করেন। ঘটনাটির জন্য ওই ইউপি সদস্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে বটগাছটির জীবন রক্ষা করার জন্য এমপি ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
স/শাহা
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়