শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২০ ১৪৩১
|| ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৪
নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে নিজস্ব পরিবহণ ও কর্মচারী দিয়ে সঠিক মাপে প্যাকেট করা ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কোন প্রকার পরিবহণ খরচ ও ভোগান্তি ছাড়া হাতের কাছে সঠিক মাপে চাল পেয়ে দারুণ খুশি উপকারভোগীরা।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদান হিসাবে বড়াইগ্রাম পৌরসভায় মোট ৪ হাজার ৬২১ জন উপকারভোগীর মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাজেদুল বারী নয়ন এ চাল বিতরন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি আরও জানান, আগে নির্ধারিত দিনে পৌরসভায় আগত উপকারভোগীদের মাঝে মাপ দেয়া বালতি দিয়ে মেপে চাল বিতরণ করা হতো। কিন্তু প্রায় তিন বছর আগে বর্তমান মেয়র মহোদয় দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি এ পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। উপকারভোগীরা যেন কোনভাবেই নির্ধারিত মাপের চেয়ে কম চাল না পান, সেজন্য খাদ্যগুদাম থেকে ট্রাকভর্তি চাল এনে পৌর কর্মচারীদের দিয়ে ১০ কেজি করে মেপে পৌর তহবিল থেকে কেনা ব্যাগে প্যাকেট করা হয়। এছাড়া পৌরসভার পরিবহণে করে প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে চাল বিতরণ করায় তাদের কোন যাতায়াত খরচ লাগে না।
ভরতপুর এলাকার উপকারভোগী আব্দুল বাসেত বলেন, আগে ব্যাগ হাতে নিয়ে গেলে পৌরসভার কর্মচারীরা বালতিতে মেপে চাল দিয়ে দিতেন। বাড়িতে এসে মাপলে ৬-৮ কেজির বেশি হতো না। কিন্তু এখন ব্যাগ টানার ঝামেলা নেই। নিট ১০ কেজি মাপের একটি প্যাকেট ধরিয়ে দেন। এতে মাপের কোন হেরফের হয় না।
মৌখাড়া এলাকার আবু রায়হান বলেন, এক সময় ১০ কেজি চালের জন্য ভ্যান ভাড়া দিয়ে পৌরসভায় যেতে হতো। এখন প্রতিটি ওয়ার্ডে ট্রাকে করে চাল নিয়ে এসে দিয়ে যায়। এতে আমাদের পরিবহণ খরচ লাগে না। আবার দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট বা সময় নষ্ট হয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই চাল নিয়ে বাড়ি ফেরা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পৌর কর্মচারী জানান, দুর থেকে চাল নিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে প্রচন্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এখন প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়ে চাল দেয়া হয়। এতে কোন ওয়ার্ডেই বেশি ভীড় হয় না। ফলে অল্প সময়ে চাল বিতরণ হওয়ায় উপকারভোগীদেরও ভোগান্তি নেই।
পৌর মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতদরিদ্র মানুষের কথা ভেবে ভিজিএফের চাল দিচ্ছেন। সে চাল যদি উপকারভোগীরা সঠিকভাবে না পান তাহলে বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন হবে না। এ কারণে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১০ কেজি করে চালের প্যাকেট করে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়ে উপকারভোগীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এতে ব্যাগের দাম, পরিবহণের জ¦ালানীসহ আনুষঙ্গিক কাজে যদিও পৌরসভার অতিরিক্ত কিছু টাকা খরচ হচ্ছে, তবু পৌর এলাকার হতদরিদ্র মানুষেরা বিনা কষ্টে, খরচ ছাড়া সঠিক মাপে চাল পাচ্ছেন এটাই আমাদের তৃপ্তি।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়