শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২০
মুক্তি পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সেরে উঠছে না বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে দলটি। এতদিন দলীয় অসঙ্গতি ও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের বিষয়ে চুপ থাকলেও হঠাৎই সরব হতে শুরু করেছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির অন্যতম নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যেমন মুক্ত করা সম্ভব নয় তেমন বিএনপিকেও টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তিনি দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন করে সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএনপি টিকিয়ে রাখারও পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, যারা কাড়ি কাড়ি টাকা বানিয়েছেন, অসৎ উপায়ে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন তাদের দ্বারা আন্দোলন সম্ভব হবে না।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সরকারের কাছ থেকে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই নিয়মিতভাবে মাসোয়ারা নেন। তাদের চিকিৎসার খরচও সরকার যোগান দেয়। যারা সরকারের কাছ থেকে টকা নেন তারা কিভাবে খালেদা জিয়ার মুক্ত করবে?
মেজর হাফিজের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যারা দিনে চিৎকার করছেন তারা রাতেরবেলা সরকারের পদলেহন করছেন এবং সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তিনি প্রশ্ন করেছেন যে বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা শেষ হয়ে গেল, আর বিএনপির বড় বড় নেতাদের দুর্নীতির মামলা কেন আঁতুড় ঘরেই পড়ে আছে? নিশ্চয়ই তারা সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করেছেন। এজন্যই তাদের মামলাগুলোর কোনো সুরাহা হচ্ছে না বা সরকারের বদন্যতায় তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেন, শুধু মেজর হাফিজ বা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নয়, বিএনপির তৃণমূলে এখন এই মতের সংখ্যাই বেশি। যারা মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার পেছনে বিএনপির নেতাদের হাত রয়েছে। তারা এটাও মনে করছেন, বিএনপি নেতারা গোপনে সরকারের সঙ্গে আপোস করেই খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়