শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৯
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পৌর এলাকার মাছিমপুর গ্রামের পিতম উদ্দিন ছিলেন একজন কৃষক। স্ত্রী মেহেরনেকা একজন গৃহিনী। ২০০৫ সালে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হার মেনে মৃত্যু হয় তার। রেখে যান স্ত্রী এবং চার ছেলে। তাদের মধ্যে দু’জন জমজ খালেদ আজম ও খালেদ মাহমুদ।
জমজ দুই ভাই দেখতে ঠিক একি রকম। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের পড়ালেখার হাতে খড়ি। পরে উপজেলার লক্ষণহাটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং রাজশাহী নিউ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এদের শিক্ষা জীবন এক সাথেই বেড়ে ওঠা সাত বছর বয়সে বাবার মৃত্যু হয়। বাবার স্নেহ বালোবাসা কী সেটা বোঝার আগেই তারা পিতৃহারা হন। কিন্তু, বাবার অনুপস্থিতিতে শিক্ষা জীবন থেকে পিছুপা হয়নি খালেদ আজম ও খালেদ মাহমুদ। বড় দুই ভাই তাদের আগলে রেখে পড়ালেখা করিয়েছেন। তাদের চার ভাই এর মধ্যে একজন বড় ভাই আরিফুল ইসলাম বে-সরকারী সংস্থা ব্র্যাক এ চাকুরি করেন, মেজোভাই মিজানুর রহমান স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালেয়ের সহকারী শিক্ষক।
ছোট ভাইদের জন্যে বড় দুই ভায়ের প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। দুই ভাই এর একান্ত প্রচেষ্টায় তারা এসএসসিতে জিপিএ-৫ এইচএসসিতে জিপিএ-৫ হবার পরে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখান। সেখান থেকেই বিজয় অর্জন দুই ভাইয়ের। মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে একজন সিলেক্টেড হয়েছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে অন্যজন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে । মা মেহেরনেকা একজন গৃহিনী। লেখা পড়া জানেননা। তবুও বুক দিয়ে আগলে রেখে যত্ন করেছেন, যাতে পিতার অভাবে তাদের কোন আবদার অপূর্ণ থেকে না যায়।
তাদের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে খালেদ আজম ও খালেদ মাহমুদ জানান, তাদের স্বপ্ন বড় ডাক্তার হয়ে শুধু টাকাই রোজগার করবেননা, সেই সাথে দেশ এবং জনগণের সেবা করবেন। দরিদ্র অসহায় মানুষের কল্যাণে সেবায় তারা নিজেকে আত্মোৎসর্গ করবেন।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়