শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৯
নাগপুরের উইকেট স্লো। বল নিচু হয়ে আসে। রান তাই বেশি হয় না। আগের চার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দল দেড়শ' রান করতে পারেনি এখানে। রোববার বাংলাদেশ-ভারতের তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচটা তাই স্বল্প রানে জমাট লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু টস হেরে ব্যাট করা ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে পেয়েছে ১৭৪ রানের বড় সংগ্রহ।
শুরুর মোমেন্টাম অবশ্য বাংলাদেশের ছিল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা মাত্র ২ রান করেন। শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শেখর ধাওয়ান ও কেএল রাহুল ৩২ রান যোগ করে সেই ধাক্কা সামাল দেন। এরপর শেখর ধাওয়ান ১৯ রান করে শফিউলের শিকারে পরিণত হন। তখনও মোমেন্টাম হাত ছাড়া হয়নি বাংলাদেশের। কিন্তু পরেই ক্রিজে আসা শ্রেয়াস আয়ারের ক্যাচ ফেলে দেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। সঙ্গে ম্যাচের লাগামও হাতছাড়া হয়ে যায় মাহমুদুল্লাহদের।
ক্রিজে থাকা কেএল রাহুল এবং শ্রেয়াস আয়ার মিলে যোগ করেন ৫৯ রান। রাহুল ৩৬ বলে সাতটি চার মেরে ৫২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। আর জীবন পাওয়া শ্রেয়াস আয়ার ৩৩ বলে তিন চার ও পাঁচ ছক্কায় টি-২০ ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন। অথচ শ্রেয়াস আয়ার ক্রিজে এসে দ্বিতীয় বলেই কোন রান না করে শফিউলের বলে ক্যাচ দেন।
আগের দুই ম্যাচে উইকেটরক্ষক হিসেবে ব্যর্থ হওয়া ঋভষ পান্ত এ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হন। তবে দলে জায়গা পাওয়া মানিশ পান্ডে শেষ দিকে খেলেন ১৩ বলে ২২ রানের দারুণ ইনিংস। ভারত পেয়ে যায় বড় লক্ষ্য। মাঠে শিশিরের প্রভাব শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ দলের ভরসা এখন ওটাই।
বল হাতে শফিউল ইসলাম দু্ই উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দেন ৩২ রান। আল আমিন হোসেন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান এ ম্যাচেও চরম ব্যর্থ। তার ৪ ওভার থেকে ভারত ৪২ রান তুলে নেয়। একমাত্র নিয়মিত স্পিনার হিসেবে খেলা আমিনুল ইসলাম ৩ ওভারে ২৯ রান খরচা করেন। উইকেট শূন্য থাকেন তিনি। তবে সৌম্য সরকার ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন। পার্ট টাইমার হিসেবে এক ওভার বল করতে এসে আফিফ হোসেন হজম করেন ২০ রান।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়