বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮
বরেণ্য নির্মাতা, অভিনেতা, প্রযোজক, গীতিকার, লেখক আমজাদ হোসেন। ১৪ ডিসেম্বর তিনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর ৬দিন পেরিয়ে গেলেও দেশে পৌঁছায়নি মরদেহ। হাসপাতালে বকেয়া বিলসহ মরদেহ দেশে আনার আনুষ্ঠানিকতা বাবদ প্রয়োজন ছিল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দেয়া ৪২ টাকা চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয়ে যায়।
এদিকে ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনতে হিমসিম খেয়ে যায় তার পরিবার। টাকার জন্য ব্যাংককে পড়ে আছে ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’সহ অসংখ্য দর্শকনন্দিত ছবির নির্মাতা আমজাদ হোসেনের মরদেহ। সেই খবর পেয়ে সব দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আগামীকাল শুক্রবার রাত ৭টায় দেশে আসছে আমজাদ হোসেনের মরদেহ।
এই নির্মাতার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, ‘আমার বাবার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সম্মান দেখালেন তার কৃতজ্ঞতার কি ভাষা থাকতে পারে? আমার জানা নেই। আমার পরিবার কোনোদিন তার এই ঋণ শোধ করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘বাবার অসুস্থতার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হলো। তিনি মমতাময়ী, আল্লাহ তাকে অনেক বড় মন দিয়েছেন। তিনি ১৮ কোটি মানুষের নেত্রী। তার কাছে কে কোন দল করলো সেটার চেয়ে একজন নাগরিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, একজন শিল্পীর মূল্যায়ণ অনেক বেশি। বহুবার এই প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। আমজাদ হোসেনের বেলাতে তিনি অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।’
দোদুল আরও বলেন, ‘আমার বাবা সারাজীবন বিএনপির আদর্শ লালন করেছেন। সেটা জেনেও প্রধানমন্ত্রী আমার বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। দুই দফায় এক কোটি টাকারও বেশি সহায়তা দিলেন। যা রীতিমতো এদেশে জন্য বিরল ঘটনা। আমি বলবো, মহানুভবতায় তিনি ইতিহাস তৈরি করেছেন।’
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়