শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২০
অবিভক্ত ঢাকার শেষ সিটি মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু দলীয় সমন্বয়হীনতা ও শূন্য জনসমর্থনে নির্বাচনে ভরাডুবি হয় তার। নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা অপতৎপরতার ভাগীদার ইশরাক নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কিছুটা গা ঢাকা দিলেও এবার শুরু হয়েছে তার পুরনো কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক শামসুল আলম। পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। জামিনে থাকা ইশরাক এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ দেওয়ার পরও তা দাখিল না করায় ইশরাকের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়। মামলায় গত ১৪ জানুয়ারি বিচারক শেখ নাজমুল আলম অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক ও তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে, বেনামে বা তাদের পক্ষে অন্য নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার তাগিদ দিয়ে নোটিশ দেয় দুদক। তবে নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিবরণী দাখিল না করায় ২০১০ সালের আগস্টে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন সংস্থাটির তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আলম। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখে সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) (ক) ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর এই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
পরে ২০১৯ সালের ৫ মে অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য থাকলেও ওইদিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করা হয়।
এরপর একই বছরের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য যান ইশরাক। তখন চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী গত ৯ ডিসেম্বর ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, ইশরাক তাদের কাছে এসব তথ্য গোপন করেছেন। ইশরাকের বিরুদ্ধে দুদকের এই মামলা নুইয়ে পড়া বিএনপিতে মরার উপরে খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, নানাবিধ দুর্নীতির কারণে বিএনপির নেতারা এখন তাদের পাপের ফল ভোগ করছেন। যার বাস্তব উদাহরণ, দুর্নীতির দায়ে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। একই অপরাধে দেশ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের দেখানো পথেই হেঁটেছেন, খোকাপুত্র ইশরাকও। যার ফল এখন তিনি হাতেনাতেই পেতে শুরু করেছেন।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়