শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২০
সমন্বয়হীন হয়ে পড়েছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রকাশ্যে তেমন কোনো বিরোধ পরিলক্ষিত না হলেও ভেতরে ভেতরে দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি বলয় সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব বলয়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে গিয়ে নানা বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়ছেন দলটির নীতি-নির্ধারকরা। ফলে সর্বস্তরের নেতাকর্মীর মধ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই দলীয় কর্মকাণ্ডে সমন্বয়হীনতা শুরু হয়। ক্রমেই সে সংকট চরমে পৌঁছেছে।
সূত্র বলছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে পৃথক পৃথক বলয় সৃষ্টি করে দলীয় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। এ কারণে কে কখন কোন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন- তা অন্য বলয়ের নেতাকর্মীরা জানতেও পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই দলের সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। তবে ইদানীং এ সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও এ ইস্যুতে আন্দোলন করা নিয়ে একেক সিনিয়র নেতা একেক সময় একেক কথা বলছেন। ফলে কোনো কিছুই ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, কারাবন্দী খালেদা জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থ থাকায় তার স্বজনরা চাচ্ছেন প্যারোল হোক আর যেভাবেই হোক তাকে মুক্ত করে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যেতে। তাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন দলীয় কিছু তরুণ নেতা। আবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কিছু নেতা চাচ্ছেন সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে তাকে মুক্ত করতে।
আর দলের কিছু নেতা চাচ্ছেন, এ ইস্যুতে আন্দোলন করে সরকারকে চাপে ফেলতে। আবার দলীয় আইনজীবী নেতারা চাচ্ছেন, তার মুক্তির বিষয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে। সমন্বয়হীনতার অভাবেই তারা পৃথক পৃথক অবস্থানে থেকে কাজ করছে।
এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপিতে এখন চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকায় কারো ওপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই যে যখন যা খুশি তাই করছে। এ কারণে দলীয় কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় তৃণমূল নেতাকর্মীরাও চরম হতাশ বলেও জানা গেছে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়