শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, সর্বত্র নির্বাচনী আমেজ। আমেজটা বিএনপির জন্য একটু বেশিই। ১০ বছর পরে নির্বাচনী মাঠে তারা। তাদের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা যেন ঈদের আমেজ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে। সেই ফায়দাও লুটেছে দলটি। শুধু মনোনয়ন বিক্রি করেই নয়, মনোনয়ন বাণিজ্যেও রেকর্ড গড়েছে দলটি। দলটির ইতিহাসে সর্বাধিক ৭০০ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল প্রাথমিক ধাপে। যাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নেয়া হয়েছিল মোটা অংকের অর্থ। দল পরিচালনা, নির্বাচনী ব্যয়, মামলা খরচ বাবদ ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে শুধুমাত্র মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে।
তারেকের নির্দেশে মনোনয়নের মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন মির্জা ফখরুল, ড. মোশারফসহ দলের ২৩ জন সিনিয়র নেতা। ঐক্যফ্রন্টে থেকেও ৩০০ আসনেই মনোনয়নের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১ টি আসনের বিপরীতে ৩০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার প্রকাশ্য অভিযোগ ছিল ড. মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত আছে এমন নেতাদের বাদ বিএনপি তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা করেছে। আর যারা লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানকে টাকা দিয়ে সন্তুষ্ট করেছে, শুধুমাত্র তাদেরকেই রেখে বিএনপি তাদের চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা তৈরী করেছে। মনোনয়ন বানিজ্যের টাকা দিয়ে জমজমাট প্রচারণা চালাচ্ছেন ড. মোশাররফ হোসেন। এই বিশাল অংকের টাকা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য অভিনব পন্থা অবলম্বন করছে বিএনপি। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা বিএনপি ভোট চাইতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জনগণের তোপের মুখে পরে পালানোর ঘটনা উঠে আসছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তাই এখন তারা এসএমএস ও ভয়েস এসএমএস ভোটারদের কাছে পাঠিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য গ্রামীন ফোনের সাথে চুক্তি করেছে বিপুল অর্থের বিনিময়ে। তাদের এই চুক্তির মাধ্যমেই বোঝা যায় তারা জনগণ থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন। যারা জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাওয়ার সৎ সাহস রাখেন না তারা যে জনগণের উন্নয়ন করতে পারবেন না সেটা জনগণের কাছে অনেকটাই পরিষ্কার।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়