শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২০
সারাদেশে আবারো জেঁকে বসেছে শীত। এতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ। প্রচণ্ড শীতে হতদরিদ্রদের কিছুটা উষ্ণতা দিতে সারাদেশে কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আর তা পেতে দীর্ঘলাইন ধরে ভিড় করছেন তারা। তবে তৃণমূলের অনেকেই শীতবস্ত্র না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া কেউ কেউ কম্বল বিতরণে অনিয়ম ও তা নিম্নমানের বলেও অভিযোগ তুলেছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘প্রতিবারই শোনা যায় কম্বল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা কখনও পাইনি।’
নাটোর জেলার দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় জনসংখ্যার অনুপাতে অপ্রতুল কম্বল পৌঁছেছে। এ অবস্থায় আরও কম্বল বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন শীতার্তরা।
তথ্যমতে, ২০১১ সালের জনসংখ্যা জরিপ অনুযায়ী নাটোরের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ১৫ ভাগ মানুষ অতি দরিদ্র। চলতি শীত মৌসুমে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জেলায় কম্বল পাঠানো হয়েছে ৩৭ হাজার ৩০০। অপরদিকে শিশুদের জন্য খাদ্য ও পোশাক কেনার জন্য জেলায় বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে দুই লাখ টাকা। এ বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় বিতরণে সমস্যায় পড়ছেন কর্তৃপক্ষ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত কম্বল এসেছে ৩৭ হাজার ৩০০। অপরদিকে শিশু খাদ্য ও পোশাক কেনার জন্য বরাদ্দ এসেছে দু'লাখ টাকা। কম্বল ও শিশু খাদ্য কেনার টাকা সাতটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জনসংখ্যার অনুপাতে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ জানান,উপজেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ। এর মধ্যে দরিদ্র ও অসহায় জনসংখ্যা ১৫ ভাগ। কিন্তু তিনি এ পর্যন্ত কম্বল পেয়েছেন মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার। আর শিশুখাদ্য ও শিশুর পোশাক কেনার জন্য বরাদ্দ পেয়েছেন মাত্র ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা।
তবে জেলা প্রশাসন বলছেন সকলের কাছে সরকারি সহযোগিতা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন তারা।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়