বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২
সৌদি আরবের খেজুর চাষে সফলতা পেয়েছেন নাটোরের কৃষকরা। গাছ লাগানোর পাঁচ বছরের মাথায় ফল এসেছে বলে জানান বাগান মালিক গোলাম নবী। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, ফলের গুণাগুণ দেখে কৃষকদের সৌদি খেজুর চাষে পরামর্শ দেয়া হবে।
২০১৭ সালে ওমরাহ হজে গিয়ে গোলাম নবী আজুয়া, আম্বার, নিমিশি, সুগাই ও সুলতান জাতের ৯টি খেজুর গাছের চারা এনে নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা এলাকায় তার খামারে রোপণ করেন। পাশাপাশি ঢাকার খামারবাড়ি থেকে সৌদি আরবের বারহি, মেজদুল, খনিজ, এখলাস ও সিপিপি জাতের ১০০টি চারা কিনে রোপণ করেন।
রোপণ করা ১০৯টি চারাগাছ একটু বড় হতেই সেখান থেকে নতুন চারা করায় খামারে বর্তমানে ২০০টি খেজুর গাছ রয়েছে। কমবেশি সব গাছেই ফল এসেছে। তবে খামারবাড়ি থেকে সরবরাহ করা বারহি জাতের গাছে সবচেয়ে বেশি খেজুর ধরেছে। বারহি জাতের খেজুর একটু হলুদ হতেই রসালো ও মিষ্টি হয়ে ওঠে।
বাগান মালিক গোলাম নবী বলেন, ‘খেজুরগুলোর মান ও ফলন দেখে আমি আশাবাদী যে আমাদের ভবিষ্যৎ বেশ ভালো।’
এ ছাড়া এক থেকে দেড় মাস পরপর জৈব সার প্রয়োগ ও বাগানের পরিচর্যা করে পাঁচ বছরের মাথায় ফল এসেছে বলে জানান কর্মচারীরা।
নাটোরে চলতি বছর প্রথম ফল এসেছে দাবি করে কৃষি বিভাগ জানায়, ফলের গুণাগুণ দেখে কৃষকদের সৌদি খেজুর চাষে পরামর্শ দেয়া হবে।
নাটোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি যে এ খেজুরগুলো ভালো কিংবা লাভজনক কি না, তারপর আমরা এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
কৃষি বিভাগ জানায়, নাটোর জেলায় ছোট-বড় ১ হাজার ৩০৫টি সৌদি খেজুরের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচশ খেজুর গাছে ফল এসেছে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়