শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ফাইল ছবি।
সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী নাটোরে শত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র। প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছে ১৩কোটি ৪১টাকা। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নাটোর গণপূর্ত বিভাগ। ইতোমধ্যে ৮টির মধ্যে ৬টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্রের কাজ শেষ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রত্যেক জেলা এবং উপজেলাতে ৫৬০টি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র নির্মাণ করার ঘোষনা দেয় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই ঘোষনা অনুযায়ী নাটোর জেলা সদরে একটি এবং সাতটি উপজেলায় মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র নির্মাণ কাজ প্রকল্প গ্রহন করা হয়। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা।
প্রতিটি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ৪৩ শতাংশ জমির উপর নির্মাণ করা হবে। ১২ হাজার বর্গফুট আয়তনের নীচতলায় থাকবে গাড়ী পার্কিং, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ডাইনিং, গণশিক্ষা কার্যক্রম কার্যালয়, অটিজম কর্ণার এবং লাশ গোসলের স্থান।
এছাড়া সাত হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের দোতালায় থাকবে নামাজের জায়গার পাশাপাশি ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়। একই আয়তনের তৃতীয় তলাতে নারী ও পুরুষের পৃথক নামাজের জায়গা, সভাকক্ষ এবং লাইব্রেরী। প্রতিটি মসজিদে ৯০ ফুট উচ্চতার একটি মিনার এবং চারটি গম্বুজ থাকছে।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, ইতোমধ্যে ছয়টি মসজিদের দরপত্র আহবান কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্থানে বড়াইগ্রাম, লালপুর ও বাগাতিপাড়া এবং পৌরসভা সামনে সিংড়া উপজেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
অপর দুইটি মসজিদের দরপত্র দ্রুত আহ্বান করা হবে। নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি হাফরাস্তায় গণপূর্তের কোয়ার্টার এলাকায় এবং জেলা মসজিদটি কালেক্টরেট স্কুল এবং ষ্টেডিয়ামের মধ্যবর্ত্তী স্থানে নির্মাণ করা হবে।
উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ১৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে হলেও জেলা সদরের মসজিদটি নির্মাণে ব্যায় হবে ১৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। চার তলা বিশিষ্ট জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রথম থেকে তৃতীয় তলা উপজেলা মসজিদের অনুরুপ এবং চতুর্থ তলাতে থাকবে কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র, তাহফিজ সেন্টার, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের কক্ষ ছাড়াও অতিথি কক্ষ।
নাটোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সকল মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ হবে। নীতিমালা অনুযায়ী কাজ নিশ্চিত করতে তদারকী ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
নির্মাণ কাজ শেষে কার্যক্রম শুরু হলে প্রতিটি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র এক একটি রিসোর্স সেন্টার হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক এ কে এম মনিরুল ইসলাম।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়