নাটোরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সম্ভাবনাময় “রোজেলা”
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২
নাটোরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে রোজেলা। এই গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম তিরিশ বছর ধরে ঔষধি গাছের চাষ করে আসছেন। গত দুই বছর হল তিনি বাণিজ্যিকভাবে রোজেলা চাষ শুরু করছেন। তবে তিনি এটি কাঁচা নয়, শুকিয়ে চা তৈরি করে বিক্রি করছেন।
কিভাবে শুরু করলেন সে সম্পর্কে তিনি বলছিলেন, “এই গাছ আমাদের বাড়িতে ছোটবেলা থেকেই ছিল। আমি পেশায় কৃষক সারাজীবন। বছর দুয়েক আগে একটা এনজিও’র কাছে ধারণা পেলাম যে এটা বাণিজ্যিকভাবে কিভাবে চাষ করা হয়। তারা আমাকে সাহায্য করেছে। প্রথম আমার নিজের জমিতে অল্প কিছু চাষ করেছিলাম। পরে আমার জমির আশপাশে অন্য চাষিদের জায়গাতেও করেছি। এই বছর নয় বিঘা জমিতে লাগিয়েছি।”
মি. ইসলাম বলছিলেন, গাছটিতে খুব বেশি পানি লাগে না। বেশি রোদ দরকার হয়। বর্ষা ও শীত এর প্রধান মৌসুম। একটি নির্দিষ্ট লাল রঙ হওয়ার পর ফলগুলো উঠানো হয়। ফল থেকে বীজগুলো বের করে ফেলা হয়।
এরপর হালকা পানি ছিটিয়ে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে দিয়ে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এটি শুকানো হয়। এরপর মোড়কজাত করা হয়। বাইরের আর্দ্রতার কারণে এটি রোদে শুকালে স্বাদ ও গন্ধ ভালো পাওয়া যায় না। কুড়ি কেজি কাঁচা ফল শুকিয়ে এক কেজির মতো শুকনো রোজেলা পাওয়া যায়।
তিনি জানিয়েছেন, এক কেজি শুকনো চা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায়। খুচরা বিক্রি হয় আরো বেশি দামে। এক টুকরো চা বা শুকনো ফলের দাম তিরিশ টাকা। মূলত ফেসবুকে বিক্রি করেন তিনি। তার বাগানে এসেও কেনেন অনেকে। তিনি বলছেন, “এর যে ঔষধি গুন আছে বলে মনে করা হয়, এই জন্য এটি অনেকেই কিনছেন।”
ফলটির বাণিজ্যিক চাষে সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট সম্প্রতি রোজেলা চা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
পাট পাতা দিয়ে চায়ের উদ্ভাবক বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের উপদেষ্টা এইচ এম ইসমাইল খান বলছেন, শুকিয়ে চা হিসেবে খাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশে নতুন হলেও বিশ্বের অনেক দেশে রোজেলা চা বা শরবত হিসেবে এটি খাওয়া হয়। ঢাকায় অনেক দোকানে ইদানীং বিদেশ থেকে আমদানি করা রোজেলা চা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আমদানির কোন অর্থ হয় না কারণ বাংলাদেশেই এটি খুব ভালভাবে চাষ করা সম্ভব।
তিনি বলছেন, মিশরসহ আফ্রিকার অনেক দেশে কেউ বাড়িতে বেড়াতে এলে আপ্যায়নের সময়, হোটেলে রেস্তোরাঁয় ওয়েলকাম ড্রিংক হিসেবে ঠাণ্ডা করে গ্লাসে এটা সবসময় দেয়া হয়।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেও এটি জনপ্রিয়। এর বেশ রপ্তানি সম্ভাবনা রয়েছে। তার ভাষায়, “সেটি মাথায় রেখে যদি এর চাষ বাড়ানো যায় তাহলে নতুন একটি রপ্তানি পণ্য পেতে পারে বাংলাদেশ। পশ্চিমা বিশ্বের বাজারে রপ্তানির চেষ্টা আমরা কেন করবো না, বলছিলেন মি. খান।
মি. খান বলেন, “চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ দুটোই বাংলাদেশে খুব সহজ। দেশেও যেহেতু এটি অনেক জনপ্রিয়, শুধু দেশের জন্যেও বাণিজ্যিক চাষ হতে পারে। এর ঔষধি গুণাবলির জন্যে চাষ হতে পারে। সফট ড্রিংক হিসেবেও বিক্রি হতে পারে। এটি কসমেটিক এবং সাবানেও ব্যবহৃত হয়। সব দিক দিয়ে এটি লাভজনক।”
“এটি যেহেতু পাট প্রজাতির গাছ, তার মানে এটি উৎপাদনের জন্য চমৎকার মাটি ও আবহাওয়া বাংলাদেশে রয়েছে। দেশে তোষা ও বাংলা পাট নামে যেগুলো পরিচিত সেগুলো যদি ৭০ শতাংশ আর মেস্তা যদি ৩০ শতাংশও চাষ করা হয় তাহলেও এর দ্বারা কৃষকেরা উপকৃত হবেন। কারণ এর তিনটি অংশই ব্যবহারযোগ্য – পাতা, আঁশ এবং ফল তিনটিই কাজে লাগানো যাবে। তবে ফলটির মূল্য সবচেয়ে বেশি।”
দেশীয় ফসল ও চাষ পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের সমন্বয়কারী দেলোয়ার জাহান বলছেন, দেশজুড়ে গ্রামাঞ্চলে, ঝোপঝাড় অথবা বাড়ির উঠানের এক কোনায় এটি পাওয়া যায়। তবে পাহাড়ে এর ব্যাপক বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে।
“আমরা ছোটবেলা থেকে তরকারিতে খেয়েছি। এখনও খাই। কিন্তু ইদানীং ঢাকায় শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের মধ্যে অনেকেই এখন এটি কিনছেন। অনেকে দেখছি এটি দিয়ে আজকাল জ্যাম ও জেলি বানাচ্ছেন।”
তিনি বলছেন, “আমরা যেমন শাক আটি ধরে বিক্রি করি পাহাড়ে সেভাবে বিক্রি হয়। প্রথমে খাওয়া শুরু হয় গাছ একদম কচি থাকা অবস্থায়। গাছ কিছুটা বড় হলে ডালসহ বিক্রি হয় পাতা খাওয়ার জন্য। ঢাকায় যেগুলো কিনতে পাওয়া যায় তা মূলত পাহাড় থেকেই আসে।”
- নাটোরে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
- স্বামী চেয়ারম্যান ও স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
- কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মালিককে ফেরত দিলেন বাগাতিপাড়ার দম্পতি
- বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়েছে কৃষকের স্বপ্ন
- গুরুদাসপুরে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন
- নাটোরে ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম শাহীনের ইন্তেকাল
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে :
- ভারত প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন পঞ্চাশ বিচারক
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
- নাটোরের ৩ উপজেলায় ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
- নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ২২ জন
- বড়াইগ্রমে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
- নাটোরে সড়ক দূর্ঘটনায় তিনবন্ধু আহত, একজনের মৃত্যু
- নাটোরে ঠিকাদারীর টাকা ভাগবোটোয়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
- বড়াইগ্রামে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- রাজধানীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন খালির নির্দেশ
- চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.১ শতাংশ
- কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না
- নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- টিসিবি কার্ডে জালিয়াতি ঠেকাতে আসছে স্মার্ট কার্ড
- রাজশাহী সহ ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি
- ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমল
- শুধু ১ দিন ছুটি নিলেই ঈদে টানা ১০ দিনের বন্ধ!
- পুতিনকে অভিনন্দন জানালেন শেখ হাসিনা
- পর্দায় ফিরলেন চিত্রনায়ক মান্না! (ভিডিও)
- রাজশাহীসহ যেসব অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়
- নাটোরে রমজানে কম দামে ইফতারি বিক্রি করেন ভিন্ন ধর্মের দিপালী
- কেজিতে জিরার দাম কমলো ৫৫০ টাকা
- সৌদি আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
- নাটোরে ৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
- ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন নাটোরের ৪২ তরুণ-তরুণী
- আসছে বিরল সূর্যগ্রহণ; ৮ এপ্রিল ভয়ানক এক দৃশ্য দেখবে বিশ্ব
- এক সেকেন্ডের জন্য ঘূর্ণন বন্ধ হলে কী পরিণতি হবে পৃথিবীর?
- শুরু হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশাল ছুটি
- উত্তরাঞ্চলে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার
- জনপ্রতি ফিতরা নির্ধারণ, সর্বোচ্চ ২৯৭০ টাকা
- ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- দর্শনা বন্দর দিয়ে এলো ১৬৫০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ
- রোজার কাফফারা কী ও কিভাবে
- আসছে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, ১০ বিস্ময়কর তথ্য
- শিক্ষকদের দুর্গম অঞ্চলে এক বছর চাকরি বাধ্যতামূলক
- ছেলের লিভারে বাঁচলেন বাবা
- একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬ ব্যাংক
- ঈদযাত্রায় এবার স্বস্তির আশা
- ৭ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে
- নিয়োগ হতে পারে লক্ষাধিক শিক্ষক, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি চলতি মাসেই
- দাম কমল ডিজেল ও কেরোসিনের
- নাটোরের ৩ উপজেলায় ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী