শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
ফুটপাথে এক দোকানি হাঁকডাক দিচ্ছেন—‘বাইচ্ছা লন, দেইখা নন, যেটা নিবেন ৫০ টাকা।’ আরেক দোকানি বলছেন—‘দেইখা নন, একজোড় দেড়শ টাকা’। তাদের হাঁকডাকে আকৃষ্ট হয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা ক্রেতারাও দোকানগুলোতে গিয়ে নিজের পছন্দ মতো জিনিসগুলো দেখছেন। দামে বনিবনা হলে ক্রেতা পছন্দের পোশাক নিয়েই ফিরেছেন।
এরকম অবস্থা নাটোর শহরের।
দিনে দিনে বেড়ে চলেছে শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশার আর ঠান্ডা বাতাসে নাটোরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো চরম বিপাক্ষে পড়েছেন। তাই শীত থেকে পরিত্রাণ পেতে নাটোরের পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। এসব পুরাতন কাপড়ের দোকানে নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের মসজিদ মার্কেট, মাদরাসা মোড়, স্টেশন এলাকার সড়কের দুপাশে অস্থায়ী পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলো বসেছে। কমদামে এসব পুরাতন গরম কাপড় কিনতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কাপড় বিক্রিতাদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। এসব পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে নারী-পুরুষের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়ের কাপড় কিনতে দেখা যায়।
এসব কাপড় ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। জ্যাকেট, কোট ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, সুয়েটার, জাম্পার ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, গেঞ্জি-প্যান্ট ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পুরাতন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পৌষ-মাঘ দুমাস বেচাকেনা জমে উঠে। শীতের ওপর বেচাকেনা নির্ভর করে। শীত যত বাড়ে, কাপড় বিক্রি তত বেড়ে যায়। তবে এ বছর পুরাতন কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পুরাতন কাপড় কিনতে আসা আবুল হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন থেকে শীত পড়তে শুরু করেছে। যার কারণে স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য পুরাতন কাপড় কিনতে এসেছি। নতুন কাপড় কেনার এত সামর্থ্য নেই। এসব পুরাতন কাপড় অনেক ভাল। কমদামে ভাল কাপড় পাওয়া যায়। ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় শীতের পুরাতন কাপড় মিলছে। আমি নিজের জন্য একটা জ্যাকেট নিয়েছি, স্ত্রীর জন্য একটা আমার ছেলের জন্য।
মো. আয়নাল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, পুরাতন কাপড়ের দোকানে ১শ থেকে দেড়শ টাকার মধ্যে ভালো সোয়েটার পাওয়া যায়। ফলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অনেক উপকার হয়। আমরা অল্প টাকা দিয়ে শীতের পোশাক কিনে শীত নিবারণ করতে পারি। বেছে দেখে কিনতে পারলে অনেক ভাল মাসের কাপড় পাওয়া যায়। ছেলের জন্য আড়াইশ টাকার জ্যাকেট নিয়েছি। যে পোশাক মার্কেটে কিনতে গেলে ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা দাম নিতো। পুরাতন দোকানে অনেক কমে পাওয়া যায়।
মোছা. আকলিমা বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। পুরাতন দোকানে ছেলে-মেয়েদের বিদেশি সুন্দর কাপড়ের পোশাক পাওয়া যায়। তাই কিনতে এসেছি। এসব কাপড় শীতে দ্রুত গরম হয়। কমদামে অনেক সুন্দর ও ভালমানের পোশাক পাওয়া যায়। তাই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কাপড় কিনতে এসেছি। ২০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৩শ টাকার মধ্য কাপড় মিলছে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়