শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১
নাটোর সদর উপজেলার গুনারিগ্রামের কৃষক বাবু মিয়া। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় ছোট ভাইকে সাথে করে ফসলের সেচের জন্য স্যালোমেশিন দিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, গত দুইদিন ধরে পরিশ্রম করে অন্তত ১০ ফিট মাটি গর্ত খুঁড়ে স্যাল মেশিন বসিয়ে পানি তোলার চেষ্ট করছি। বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে খরার এই সময় এমন কষ্ট করে ফসলের সেচ দিতে হচ্ছে আমাদের। এদিকে মাটি খুঁড়ে মেশিন নিচে নামিয়ে পানি তোলার এমন দৃশ্য নাটোরের সব উপজেলায় দেখা যাচ্ছে।
নাজিরপুর ইউনিয়নের তুলাধুনা বিলের কৃষক আব্দুস সাত্তার, আমজাদ হোসেল, রবিউল ইসলাম বলেন, বছরের অন্য সময় পানি সঙ্কট না থাকলেও খড়া মৌসুমে নিচে নেমে যায় স্তর। আমার বোরো ধানে সঠিক সময় সেচ দিতে পারি নাই।
তারা বলেন, মেশিনে পানি উঠছে না। ধান বেশিরভাগ চিটা হয়ে গেছে। জমিতে পানি জমিয়ে রাখতে না পারায় হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ধানের শীষ চিটা হয়ে গেছে। এতে চরম ফলন বিপর্যয় হবে বলে মনে করছেন তারা। কোনো উপায়ও দেখছেন না তারা।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার জানান, চৈত্র মাসে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধানের জমিতে পানি জমিয়ে রাখতে হবে।
নাটোর বিএডিসি (সেচ বিভাগ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত প্রায় দশ বছর ধরে নাটোর অঞ্চলে একটু একটু করে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাচ্ছে। পানি সঙ্কট সমাধানে বিএডিসি সব রকমের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এদিকে খড়া মৌসুমে সঠিক সময়ে সেচের ব্যবস্থা করা না গেলে দেশ উৎপাদন ঘারতিতে পরবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়