শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২১ ১৪৩১
|| ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
নাটোরে জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়া ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে এখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যতই দিন যাচ্ছে শীতের তীব্রতা যেন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। পাশাপাশি শীতে জবুথবু মানুষগুলো উষ্ণতার খোঁজে ভিড় করছেন পাড়া-মহল্লা, মহাসড়কের পাশে ও গ্রামের চায়ের দোকানে। শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের দোকানগুলোর সামনে এখন চোখে পড়ে মাফলার জড়ানো মুখগুলো দুই হাতে চায়ের কাপ ধরে উষ্ণতা নিচ্ছেন আর চা পান করছেন।
সরেজমিনে, নাটোর নীচা বাজার, রেলওয়ে স্টেশন চত্বর, বড় হরিশপুর আদালত চত্বর এলাকায়, মাদ্রাসা মোড়, নলডাঙ্গা হাট, পাটুল বাজার, বাঁশিলা কাঁচারি বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
অটো-রিকশা চালক আইনুল মোল্লা জানান, শারীরিক সমস্যা থাকায় তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে গত চার দিন ধরে অটোরিকশা চাালাতে পারছেন না। তাই বেশির ভাগ সময় বাড়ি সংলগ্ন চায়ের দোকানে বসে চা পান আর গল্প গুজব করে সময় কাটাচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত ৭-৮ কাপ চা পান করেছেন বলে জানান তিনি।
কৃষক শফিকুল ইসলাম শফি জানান, এই শীতে জমিতে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে দোকানে গিয়ে চা পান করছেন। এক কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম চা শীতলতা কাটিয়ে উষ্ণ করে তোলে। সেই সঙ্গে শরীরে স্বস্থির আমেজ তৈরি করে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মুকুল মোল্লা জানান, এমনিতে সারাদিনে ৩-৪ কাপ চা পান করা হয়। কিন্তু প্রচণ্ড শীত থাকায় চা পানের পরিমাণও বেড়েছে। কারণ খোলা আকাশের নিচে ফুটপাতে বসে মালামাল বিক্রি করতে খুবই কষ্ট হয়। এই শীতে চায়ে চুমুক দিলে অনেকটাই যেন স্বস্থি মেলে। তাই চা পান করতে চা স্টলে আসা হয়।
চা বিক্রেতা মাহাবুবুর ফৌজদার জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পযর্ন্ত দোকানে চা তৈরি করে বিক্রি করেন তিনি। তার দোকানে বেচাকেনা সব সময় ভালো হয়।
চা বিক্রেতা মসিউর রহমান মুন্না জানান, শীতের তীব্রতা কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পাওয়ায় চা বিক্রিও কয়েকগুন বেড়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন দোকানে বসে গল্প করে আর টিভি দেখে চা পান করছেন।
চা বিক্রেতা বাবলু শেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে চায়ের চাহিদা বেড়েছে। আগে যেখানে দৈনিক প্রায় ৩০০ কাপ চা বিক্রি হতো। আর এখন ৪০০ কাপের ওপর বিক্রি হচ্ছে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়