শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২২
নাটোরে রসুনের ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চলনবিলের চাষিরা। দেশের উৎপাদিত এক-তৃতীয়াংশ রসুন নাটোর জেলায় উৎপাদন করা হয়। নাটোর থেকে প্রতি বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার রসুন বেচাকেনা হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর ভালো ফলন হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।
জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খেত থেকে রসুন উত্তোলন করছেন চাষিরা। পরিপাটি শেষে বস্তাবন্দি করে বিভিন্ন হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছেন। হাটে প্রকারভেদে সর্বনিম্ন ৬০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে প্রতি মণ রসুন বিক্রি হতে দেখা গেছে। হাটে-বাজারে রসুনের চাহিদা থাকলেও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন চাষিরা। ভালো দাম না থাকায় কৃষকের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ দেখা যাচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে নাটোর সদর উপজেলায় ২ হাজার ৯৪০ হেক্টর, গুরুদাসপুরে ৫ হাজার ৫০০, বড়াইগ্রামে ৯ হাজার ৪৫৫, সিংড়ায় ১ হাজার ২৮০, নলডাঙ্গায় ৫১০, লালপুরে ১ হাজার ২৩৫ এবং বাগাতিপাড়ায় ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে; যা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫১৭ মেট্রিকটন।
নাজিরপুর এলাকার রসুনচাষি খোরশেদ আলী বলেন, গত বছর তিন বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেন তিনি। ফলন বেশ ভালোই হয়েছিল কিন্তু রসুন বিক্রি করে খরচের টাকাই উঠছে না। এ বছর রসুনের দাম উঠলে লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেবেন বলে জানান তিনি।
চলনবিলের শ্রীপুর গ্রামের চাষি শফিকুল ইসলাম জানান, চার বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন তিনি। গত বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন খরচ বেশি। এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে রসুন আবাদে খরচ হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ২০-২৫ মণ রসুন উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন ভালো হলেও খরচ অনুযায়ী বাজারে দাম নেই। এ রকম দাম থাকলে সব চাষিকে লোকসান গুনতে হবে।
গুরুদাসপুরের রসুন চাষি আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া বলেন, এ বছর চার বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছি। হাটে রসুনের দাম নেই, ভালো দাম পেলে প্রায় ২ লাখ টাকার রসুন বিক্রি করতে পারতাম।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক বলেন, দেশের এক-তৃতীয়াংশ রসুন নাটোর জেলায় উৎপাদিত হয়। চলতি মৌসুমে জেলায় ২১ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়