বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২৪ ১৪৩১
|| ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২২
জার্মানির একটি ছোট্ট শহর থেকে বাঁশি বাজিয়ে ইঁদুর তাড়িয়েছিলেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তেমনই ইঁদুর তাড়ানো একজনের দেখা মিলেছে নাটোরের নলডাঙ্গায়। তবে তিনি বাঁশি বাজিয়ে নয়,ফাঁদ পেতে শিকার করেন ইঁদুর। কষ্টে ফলানো ফসলের ক্ষতির হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাতে সাত বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে মাঠ থেকে ইঁদুর তাড়ানোর কাজটি করেন তিনি। যখনই সময় পান তখনই ফসল রক্ষায় মাঠে মাঠে ইঁদুর শিকারে ঘুরে বেড়ান। তার নাম মোস্থফা আলী প্রধান। বয়স ৪৬। পেশায় কৃষক। তার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ রীতিমতো এলাকায় সাড়া ফেলেছে। তিনি উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ঠাকুর-লক্ষীকুল-বিলপাড়া গ্রামের বারেক আলীর ছেলে।
ঠাকুর-লক্ষীকুল গ্রামের বিপুল হোসেন বলেন,ফসলের জন্য ক্ষতিকর ইঁদুর নিধনে দীর্ঘদিন থেকে মাঠে মোস্থফা আলী ইঁদুর শিকার করেন।
জানা যায়,মোস্থফা আলী সাত বছর ধরে বিভিন্ন এলাকার মাঠে মাঠে ইঁদুর শিকারের খোঁজে ঘুরে বেড়ান। ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়ার সময় গর্ত থেকে বেরিয়ে আসা ইঁদুর তিনি শিকার করেন। এছাড়া বিষটোপ দিয়ে ক্ষেতের এবং বাড়ির ইঁদুর শিকার করেন। তিনি মাঠে গেলে ১০-১৫টি করে ইঁদুর মারেন। এই সাত বছরে অন্তত ৩ হাজার ইঁদুর মারার দাবি করেছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন,কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ইঁদুর নিধন অভিযান চালানো হয়। এতে যেসব কৃষকরা ইঁদুর নিধন করেন,তাদেরকে পুরুস্কারের ও ব্যবস্থা করা হয়। ইঁদুর নিধন কিভাবে করা যায় বিভিন্ন প্রদ্ধতি তাদেরকে জানাই। আমাদের উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়,জেলা পর্যায় থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে এবং সেখান থেকে জাতীয় পর্যায়ে পর্যন্ত কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য পুরুস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। আমরা এই কার্যক্রমটা প্রতি বছর করি। একমাস ধরে অভিযানটা চলে। সারা বছর যেন কৃষকরা এই ইঁদুর নিধন করে সে জন্য আমরা সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে থাকি।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়