শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৯
নলডাঙ্গায় দোকান বাঁকির টাকার জন্য দোকানের মালিক আসলাম ও তার ছেলে মিজান খদ্দের রায়সিংহপুর গ্রামের খগেন্দ্রনাথ এর ছেলে বাঞ্ছারাম, বাঞ্ছারামের মা সাবিত্রী রানী এবং স্ত্রী পরী রানী নামে একই বাড়ির তিনজনকে মারধরের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত আসলাম সিংড়া উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামের মেছের আলীর ছেলে।
বাঞ্ছারামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড়বাড়ি গ্রামের আসলাম আলী রায়সিংহপুর বাজারের মুদি দোকানদার। বান্ছারাম আসলামের দোকান থেকে নিয়মিত পণ্য ক্রয় করে। কখনো নগদে কখনোবা বাকিতে নিয়মিত খাদ্য দ্রব্যাদি ক্রয় করে বান্ছারাম। এরমধ্যে দোকানে ১৮শ টাকা বাঁকি হয়ে যায়। এই টাকা আদায়ের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে আসলাম এবং তার ছেলে বাঞ্ছারামের বাড়িতে যায়। বান্ছারাম ২ দিন পরে টাকা দেয়ার আশ্বাস দেয়। এতে আসলাম ও তার ছেলে মিজান তাদের নৌকা থেকে জাল টেনে হেঁচড়ে নামাতে যায়। এ সময় বান্ছারাম বাধা দিলে নৌকার বৈঠা দিয়ে মিজান বান্ছারাম কে মারধর শুরু করে।
বাঞ্ছারামের চিৎকারে তার মা এবং স্ত্রী ছুটে এসে বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। বৈঠার আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে বাঞ্ছারাম মাটিতে পড়ে গেলে আসলাম এবং তার ছেলে মিজান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুত বাঞ্ছারাম,তার স্ত্রী এবং মাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান জানান বাঞ্ছারামের মাথার বাম পাশে আঘাতে কেটে গেছে। সেখানে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে এবং বাম হাত এর হাড় ফেটে গেছে। সাবিত্রী রানী ও পরিধানে শরীরে একাধিক মারের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে আসলাম ও তার ছেলে মিজান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন ও জানাতে পারেনি তারা কোথায় আছে। একটু সুস্থ হলে থানায় মামলা করা হবে বলে জানান বাঞ্ছারামের পরিবার।
পুলিশ জানায়, এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স/সা
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়