শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২০
সুস্বাস্থ্যের জন্য জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। এটি রোগপ্রতিরোধ প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখে এবং দেহের কোষগুলো পুনর্গঠিত করতে সাহায্য করে। পুরুষদের দৈনিক ১১ মিলিগ্রাম জিঙ্কের চাহিদা রয়েছে। নারীর দেহে দৈনিক ৮ মিলিগ্রাম জিঙ্ক প্রয়োজন।
দৈনন্দিন কিছু খাবারেই এই জিঙ্কের চাহিদা পূরণ হয়। কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হল যেগুলো দেহে জিঙ্কের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
শাক-সবজি: সাধারণত ফল ও শাকসবজি থেকে তেমন জিঙ্ক পাওয়া যায় না। তবে, কিছু কিছু সবজিতে জিঙ্ক উপাদান রয়েছে। কলি, আলু ও সবুজ সিমে জিঙ্ক বিদ্যমান। এই সবজিগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক সরবরাহ করতে না পারলেও হৃদরোগ ও ক্যানসারের মতো ক্রোনিক রোগের ঝুঁকি কমায়।
দুগ্ধজাত খাবার: পনির, দুধের মতো দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর নিউট্রিয়েন্টস থাকার পাশাপাশি জিঙ্কও রয়েছে। দেহ এই জিঙ্ক সহজে শোষণ করতে পারে।
ডিম: ডিমে থাকা সামান্য জিঙ্কই দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে পারে।
শস্যজাতীয় খাবার: গম, ভাত, কুইনো এবং ওটসও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু এগুলোতে থাকা পাইটেট জিঙ্ক শোষণের মাত্রা কমিয়ে দেয়। শস্য জাতীয় খাবারে ফাইবার, বি ভিটামিন, আয়রন, ফসপরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যেগুলো খুবই স্বাস্থ্যকর।
ডার্ক চকোলেট: এতে পর্যান্ত পরিমাণ জিঙ্ক পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম একটি চকোলেটের বারে ৩.৩ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
মাংস: বিশেষ করে লাল মাংসে উচ্চমাত্রায় জিঙ্ক পাওয়া যায়। গরু, শুকর ও ভেড়ার মাংসে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক বিদ্যমান।
বীজ জাতীয় খাবার: কুমড়ো, টিসির বীজ এগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে। দৈনিক চাহিদার ৩৩ শতাংশ জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করে এই বীজগুলো। এছাড়া এই বীজগুলোতে স্বাস্থ্যকর ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং আঁশ পাওয়া যায়।
বাদাম: জিঙ্ক সমৃদ্ধ আরেকটি খাবার হচ্ছে বাদাম। আলমন্ড, পিনাটস, ক্যাশউ এর মতো জিঙ্ক সমৃদ্ধ বাদাম হৃদরোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করবে আপনাকে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়