বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯
উত্তরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের খুব একটা প্রভাব পড়েনি। তবে গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শনিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এতে নাটোর জেলার বিভিন্ন ধানক্ষেতে পানি জমেছে। একই সঙ্গে দমকা হাওয়ায় পানিতে হেলে পড়েছে আধাপাকা রোপা আমন ধান। হেলে পড়া ধানের দানাগুলো শীষ থেকে খসে ভাসছে বৃষ্টির পানিতে।
গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন উপজেলারে ধানের ক্ষেত ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৬৯ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করা হয়েছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলার টেটনপাড়া গ্রামের কৃষক আজগর আলী জানান, তিনি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের ধান আবাদ করেন। দু'দিনের দমকা বাতাসে কিছু অংশ হেলে পড়েছে। তবে বৃষ্টি কম হওয়ায় ধান নষ্টের সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
নলডাঙ্গার হলুদঘরের কৃষক লোকমান আলী জানান, তার ৩ বিঘা জমিতে অধাপাকা আমন ধান রয়েছে, যার কিছুটা অংশ হেলে পড়েছে। আবহাওয়ার বৈরী আচরণে সতর্ক হয়ে দ্রুত ধান কাটার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলার সাবগাড়ি এলাকার কৃষক আবদুল মোমিন জানান, জমির ধান বাতাসে হেলে পড়েছে। পাকা ধান কাটার পর জমিতে রসুন বোনার প্রস্ততি নিচ্ছিলাম।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কৃষকরা যে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করেছিলেন, তা না হলেও দমকা বাতাসে কিছুটা ধান নষ্ট হতে পারে। একটি শীষ পরিপক্ব ধানের দানায় পরিপূর্ণ হলে স্বাভাবিকভাবেই তা নুয়ে পড়ে। দমকা বাতাসে কিছুটা ধান হেলে পড়ায় তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। শিগগিরই কৃষকরা ধান কেটে ধরে তুলবে বলে আশা করছি।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়