মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ৪ ১৪৩০
|| ০৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২১
এরই মধ্যে প্রকল্পটির ৭২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আধুনিক এ খাদ্য সংরক্ষণাগারে যেকোনো দুর্যোগে দীর্ঘদিন খাদ্যশস্য মজুত রাখা যাবে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের উৎপাদিত চাল সংগ্রহ করে খুব সহজেই সংরক্ষণ করা যাবে। এমনকি প্রয়োজনে ভারতের ত্রিপুরাসহ সাতটি রাজ্যে সহজেই চাল আমদানি-রফতানি করা যাবে।
দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ধান ও চালের সবচেয়ে বড় বাজার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ। দেশের হাওর অঞ্চলের উৎপাদিত সব ধানই কৃষক ও পাইকাররা নিয়ে আসেন আশুগঞ্জ হাটে। প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার মণ ধান আসে এ হাটে। এসব ধান আড়তদারদের মাধ্যমে স্থানীয় চার শতাধিক চাতালকলে বিক্রি হয়। আর মিল মালিকরা চাতালে ধান থেকে চাল বের করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন।
ধান ও চালের বড় মোকাম গড়ে ওঠায় প্রতিবছর সরকারের ধান ও চাল সংগ্রহের বড় একটি অংশ আশুগঞ্জ থেকে হয়ে থাকে। এ কারণে বেশিদিন চালের গুণগত ও পুষ্টিমান বজায় রাখার লক্ষ্যে আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে আধুনিক সাইলো বা খাদ্য সংরক্ষণাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
২০১৮ সালের এপ্রিলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় সাইলো নির্মাণ কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন ও ইটালিয়ান কোম্পানি ফ্রেমি এজিআই। ২০২০ সালের এপ্রিলে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় দুই দফায় সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ঠিদাকারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করতে সময় দেওয়া হয়েছে।
আশুগঞ্জ আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল করীম শেখ জানান, আশুগঞ্জ ছাড়াও দেশে আরো সাতটি আধুনিক সাইলো নির্মাণ করছে সরকার। চালের জন্য ছয়টি ও গমের দুটি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আশুগঞ্জেরটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও দেশের সবচেয়ে বড় চাল সংরক্ষণাগার।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়