বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২১
নাটোর শহরতলীর বড়ভিটা দাদাপুর জামে মসজিদের দেয়ালের একাংশ পুকুরে ধসে পড়েছে দুই মাস আগে। পুরো মসজিদেই দেখা দিয়েছে ফাটল। মসজিদের টিনের চালটি বাঁশের মাধ্যমে ঠেকনা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
শহরের পিটিআই মোড় থেকে হাফ কিলোমিটার দূরে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন দাদাপুর রোডে মসজিদটির অবস্থান। দাদাপুর সড়কের দুই পাশে সরকারি জায়গায় দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস। এখানকার অধিকাংশই অধিবাসী দিনমজুর এবং হৃতদরিদ্র। তারাই এই মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি। এলাকাবাসী জানান, ৯০-এর দশকে নিজেরা চাঁদা তুলে এবং কয়েকজন বিত্তবানের সহায়তায় মসজিদটি গড়ে তোলা হয়। দুই মাস আগে মসজিদটির একাংশের দেয়াল পুকুরে ধসে পরে। একদিকে অনেকটা হেলে পড়েছে। ওই অঞ্চলে আর কোনো মসজিদ না থাকায় হেলে পড়া মসজিদেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।
সরেজমিন দেখা যায়, মসজিদের একাংশ ধসে পড়ায় দেয়ালে এবং মেঝের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। টিনের চাল বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মসজিদটিতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছে। মসজিদটি এতোটাই পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে, সেখানে আর নামাজ আদায় করার কোনো সুযোগ নেই। পুকুরে ধসে পড়ায় মসজিদের মেঝের অংশসহ বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন জানান, শুধু জীবনের ঝুঁকি নয়, নামাজে দাঁড়ানোর সময় নিজে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারলেও সেজদায় দেহের ভারসাম্য রাখা অনেক কষ্টকর হয়। রুকুতে গেলে কিছুটা হেলে পড়তে হলেও সেজদায় গেলে মনে হয় পুরো দেহ একেবারে গড়িয়ে যাবে। মসজিদটি নতুনভাবে তৈরি করতে অনেক টাকার দরকার, যেটা আমাদের এখানকার গরিব অধিবাসীদের নেই। টাকার অভাবে যেকোনো রকমের অবকাঠামো তৈরির কাজে হাত দিতে পারছেন না তারা।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ বলেন, নতুন করে মসজিদ নির্মাণে বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত। তবে সাধ্যমতো তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে, নাটোর সদর উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর দাদাপুর রোড জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য সবার কাছে আর্থিক অনুদান ও সাহায্য আবেদন করেছেন উক্ত মসজিদের সভাপতি এবং সম্পাদক।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়