শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২১
বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা আঞ্চলিক সড়কের কঁচা নদীতে নির্মাণাধীন অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর পাল্টে যাবে পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র। সেতুটি নির্মাণের ফলে দেশের সব এলাকার সঙ্গে পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে। আর এতে করে পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন নতুন কলকারখানা। পদ্মা সেতুর সঙ্গেই এ সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলে যোগ হবে নতুন মাত্রা। পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) অফিস সূত্রে জানা গেছে, চীন সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় প্রায় ৮২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালে ৯৯৮ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে চীনের একটি বেসরকারি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, যা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নির্ধারিত সময়ে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সওজ বিভাগের কর্মকর্তারা। ৮টি পিলার ও ২টি ভায়াডাক্ট এর ওপর ৯টি স্প্যান দিয়ে নির্মিত এ সেতুটির দুই পাশে প্রায় ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক থাকবে। এ বিষয়ে পিরোজপুর সওজ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, সেতুটির সবপিলার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এ পর্যন্ত সেতুটির ৬০ ভাগের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেতুটির কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা তার। বর্তমানে কঁচা নদী পার হতে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা আঞ্চলিক সড়কের কুমিরমারা-বেকুটিয়া ফেরিটি ব্যবহার করতে হয়। কোনো কারণে একটি ফেরি ধরতে না পারলে তাদের সেখানে কমপক্ষে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। আর গাড়ির লাইন দীর্ঘ হলে তো কথাই নেই। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় রাতের বেলা। তবে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে সাধারণ মানুষকে এ ভোগান্তি পোহাতে হবে না আর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে উন্নয়নবঞ্চিত দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলায়। খুব অল্প সময়েই যানবাহনগুলো তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়